রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৩ am
ডেস্ক রির্পোট : নওগাঁ সদর উপজেলার বাবলাতলী এলাকায় ট্রাক চাপায় চার শিক্ষকসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় জড়িত ট্রাক চালক রেজাউল করিমের ভারী যানবাহন চালানোর সনদ নেই। ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান ওই চালক।
বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র্যাব)- এর সিইও লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এসব তথ্য জানান। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাবাইহাট এলাকা থেকে চালক রেজাউল করিমকে (৩৫) গ্রেপ্তার র্যাব-৫-এর নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তার রেজাউল করিম ওরফে নবী মান্দা উপজেলার বড় মল্লুকপুর গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ট্রাক চালক রেজাউল করিম ২০১৭ সালে হালকা যানবাহন চালোনার সনদ পান। কিন্তু রেজাউল করিম আইন অমান্য করে ওই বছর থেকেই ভারী যানবাহন চালিয়ে আসছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালিয়ে ওই দুর্ঘটনা সংগঠনের কথা স্বীকার করেছেন চালক রেজাউল করিম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার পর চালক রেজাউল গ্রেপ্তার এড়াতে গাঁ ঢাকা দেন। সর্বশেষ বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫-এর নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মান্দা উপজেলার সাবাইহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চালককে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে র্যাব-৫-এর নাটোর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন, উপ-অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে নওগাঁ সদর থানা পুলিশের কাছে চালক রেজাউল করিমকে হস্তান্তর করে র্যাব।
গত ২৪ জুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে পাঁচজন শিক্ষক একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে নওগাঁ শহরে আসছিলেন। সকাল ৮টার দিকে তাঁদের অটোরিকশাটি নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের নওগাঁ সদরের বাবতলী মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুত গতির একটি ট্রাক তাঁদেরকে চাপা দেন।
এতে অটোরিকশার চালকসহ ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক সেলিম রেজার স্ত্রী সাহারা বেগম বাদী হয়ে ট্রাক চালক রেজাউল করিম ও অজ্ঞাতনামা ট্রাক চালকের সহযোগীর নামে মামলা করেন।
ট্রাক চাপায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন, নিয়ামতপুর উপজেলার বেলগাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মকবুল হোসেন (৫৮), গুজিশহর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৮), পানিহারা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন (৪৭), রামপুরা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক লেলিন সরকার (২৭) ও অটোরিকশা চালক সেলিম রেজা (৫২)।
এ ঘটনায় আহত শিক্ষিকা নুরজাহান বেগম (২৯) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার চালক রেজাউল করিমকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আদালতের নির্দেশ মতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : পদ্মাটাইমস