শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৪৭ am
cngj dvcrAft : বীর মুক্তিযোদ্ধা মমদুল ইসলামের মৃত্যুর তিন মাস পর থেকে তার স্ত্রী জাহেদা বেগম বিতাড়িত হয়ে অন্যের বাড়িতে থাকেন। একমাত্র ছেলে জাহেদুল ইসলামকে (২৮) মাদক ও জুয়ার টাকা না দেওয়ায় তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও কোনো সুফল না মেলায় তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ছেলের নির্যাতনের শিকার জাহেদা খাতুনের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর চাঁদখানা মিয়াবাড়ি গ্রামে।
অভিযোগে জানা যায়, একাধিক বিয়ে করে তালাক দেন অভিযুক্ত জাহেদুল ইসলাম। মাদক সেবন ও জুয়া খেলে বাড়িতে এসে তার মায়ের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করেন। স্বভাব পরিবর্তনের কথা বলায় তার মাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।
বাবার মৃত্যুর পর তার মা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার নমিনি হওয়ায় বিষয়ে জানতে পেরে জাহেদুল ক্ষিপ্ত হয়। ১২ মার্চ জুয়া খেলার টাকা না দেওয়ায় তার মা জাহেদা বেগমকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ব্যাংকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার মায়ের সম্মানী ভাতার টাকা বন্ধ করেন।
ভুক্তভোগী জাহেদা খাতুন বলেন, চার মাস ধরে প্রতিবেশী এক ননদের বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। ছেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ ইউএনও থানায় পাঠায়। থানা পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও বিচার পাব না। আমার বেঁচে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহেদুল ইসলাম জানান, তার মা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
কিশারগঞ্জ থানার এসআই ও চাঁদখানা ইউনিয়নের বিট অফিসার আব্দুর রশিদ জানান, গতকাল ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী এসেছিলেন। তাকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সোনালি ব্যাংকের ম্যানেজার রোকনুজ্জামান সরকার জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর ভাতা প্রদান বন্ধ রয়েছে। মা ও ছেলেকে কোর্ট থেকে সাকসেশন নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। কোর্ট যাকে সম্মানী ভাতার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত দেবেন তাকেই বকেয়া টাকাসহ দেওয়া হবে। সূত্র : যুগান্তর