বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০৩ am

সংবাদ শিরোনাম ::
পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক বৈরী আবহাওয়ার অজুহাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অসহায় মানুষ বাগমারায় সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেফতার বাগমারায় মোমবাতির আগুনে ব্যবসায়ীর দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই মোহনপুরে চুরির মালামাল উদ্ধার, ১২ ঘন্টা পর চোর আটক মোহনপুরে ঈদে মিলাদুননবী (সা:) পালিত রাজশাহীতে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত
চারঘাটের জনমদুঃখী মইনুলের হাইকোর্ট জয়

চারঘাটের জনমদুঃখী মইনুলের হাইকোর্ট জয়

ডেস্ক রির্পোট : জন্মগতভাবেই একটি পা নেই মইনুল হকের। দরিদ্র পরিবারে ১৯৯০ সালে জন্ম নেওয়া মইনুল বাবা-মাকে হারিয়েছেন আগেই। একমাত্র ভিটে ছাড়া জমি-জমা বলতে কিছু নেই তাদের। ছোট বোনকে নিয়ে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে শৈশব-কৈশোর কেটেছে।

কিন্তু হার মানেননি দারিদ্র্যের কাছে। টিউশনি করে নিজের খরচে রাজশাহী কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স পাস করেন। ছোট বোনকে বিয়েও দিয়েছেন। একটি চাকরি পাওয়ার পর নিজে বিয়ে করবেন বলে স্বপ্ন বুনে রেখেছেন জনমদুঃখী মইনুল।

মইনুল বলেন, রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামে আমার বাড়ি। রাজশাহী কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনেক কষ্টে আমি অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছি। একটা চাকরির আশায় ২০১৭ সালের এনটিআরসিএ’র অধীনে ১৪ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হই। কর্তৃপক্ষ আমাকে জেলা-উপজেলায় শূন্যপদ থাকার ভিত্তিতে টিকিয়েছিল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও আমাকে নিয়োগ দেয়নি। যার কারণে আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। রিট আবেদন করি। অনেকদিন আইনি লড়াই শেষে কাঙিক্ষত পজিটিভ রেজাল্ট আমাদের পক্ষে এসেছে। হাইকোর্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৯ জুন বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মইনুলসহ ১৪ তম নিবন্ধনধারী ৪৮৩ জনকে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।

রায়ে দারুণ খুশি মইনুল। তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ দ্রুত হাইকোর্টের রায় মেনে নিয়ে আমাকে নিয়োগ দেবে। আমার চাকরির খুবই প্রয়োজন। আমি এখন পর্যন্ত বেকার। গ্রামে টিউশনি করে কোনো মতে চলছি। চাকরিটা হয়ে গেলে বিয়ে করার ইচ্ছে আছে।

মইনুলসহ রিটকারীদের আইনজীবী ফারুক হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে ১৪ তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, যা তিন ধাপে তথা প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তিন ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মইনুল হকসহ ১৪ তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ৪৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরে তারা এনটিআরসিএ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়াসহ মানববন্ধন করেন। তাতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগ না দিলে মো. মইনুল হকসহ ৪৮৩ জন হাইকোর্টে রিট করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে হাইকোর্ট তাদের দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র- ঢাকা পোস্ট

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.