শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:০৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আব্দুল করিম (৪৭), সোহেল রানা (২২), নাজিম ওরফে রাজীব ওরফে রাজু (২৮), ইয়াকুব আলী (৫২) ও রইস উদ্দিন ওরফে রাজ ওরফে মামুন (২৮) নামে ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোটরসাইকেল ব্যবহার করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করাই ওদের নেশা বলে জানান নাটোরের পুলিশ সুপার।
শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি পদে সদ্য পদোন্নোতি পাওয়া পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় গ্রেপ্তারকৃত একজন আসামীকে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, চলতি বছরের ৩০ মার্চ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সিংড়া,গুরুদাসপুর এবং বড়াইগ্রাম উপজেলায় সংঘটিত তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে।
তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিংড়া উপজেলার নাসিয়ারকান্দি এলাকার মৃত পচাঁ সরকারের ছেলে আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে সে গুরুদাসপুরের টাকা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের নাম-ঠিকানা জানায়।
পুলিশ তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৯ জুন গুরুদাসপুর থানা এলাকার মোড় থেকে গুরুদাসপুর উপজেলার কালিনগর এলাকার রুপচাঁদ আলরি ছেলে সোহেল রানাকে এবং একই দিন সদর থানার একডালা বাবুর পুকুর পাড় এলাকার ভাড়া বাসা থেকে সিংড়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের আলাল উদ্দিন মৃধার ছেলে রাজিম ওরফে রাজিব ওরফে রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছে থেকে ২টি মোটর সাইকেল এবং লুন্ঠিত ৫০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একই দিন পুলিশের অপর একটি দল বড়াইগ্রামের বনপাড়া থেকে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নওয়াগ্রামের হাচেন আলীর ছেলে রইচ উদ্দিন ওরফে রাজ ওরফে মামুনকে এবং সিংড়া উপজেলার কলম থেকে কলম লক্ষিপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করে।
এসব অভিযানে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটিসহ ছিনতাই করা চারটি মোটরসাইকেল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি স্মার্ট ফোন ও দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
লিটন কুমার সাহা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ছিনতাইকাজের সময় মোটর সাইকেল ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করে। মোটর সাইকেল ব্যবহার করে ছিনতাই করা তাদের নেশায় পরিণত হয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা এনজিও কর্মি ,ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে এবং মোটর সাইকেল করে গিয়ে পথরোধ করে।
পরে তারা টাকা ও মোটর সাইকেল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তারা মোটর সাইকেল নিয়ে পিছন থেকে গিয়ে ভিকটিমের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে কখনও কখনও ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে।
গত ২৪ মে গুরুদাসপুরের কালাকান্দর এলাকায় এক এনজিও কর্মীর মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান। সূত্র : পদ্মাটাইমস