রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:০৫ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার এক নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ দোকান ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাত আটটার দিকে মুন্ডুমালা বাজারে সরদার মার্কেটে উজ্জল সুজ নামের জুতা সেন্ডেটের দোকানে ঘটে এসব ঘটনা। এঘটনায় উজ্জল সুজ দোকানের মালিক আহসান হাবিব উজ্জল বাদি হয়ে মুন্ডুমালা পৌরসভার নৈশ প্রহরী বখাটে মাদকসেবী খালেদ সরকার সবুজকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী মহল। ফলে দ্রুত বখাটে সবুজের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৯ জুন বুধবার রাত আটটার দিকে মাতাল অবস্থায় মুন্ডুমালা পৌরসভার নৈশ প্রহরী সবুজ বাজারের সরদার মার্কেটে উজ্জল সুজ দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। এসময় দোকান মালিক উজ্জল চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সবুজ মাতাল অবস্থায় গালমন্দ ও দোকানের গ্যালারি ভাঙ্গা শুরু করেন। এঅবস্হায় দোকান মালিক বাঁধা দিলে তাকে গ্যালারির ভাঙ্গা কাঁচ দিয়ে আঘাত করে হাত পা ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলেন। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে উজ্জলকে উদ্ধার করে মুন্ডুমালা হাসপাতালে নিয়ে যান।
বেশকিছু ব্যবসায়ীরা জানান, সবুজ মাতাল অবস্থায় মুন্ডুমালা বাজারে মাঝে মধ্যেই চাঁদাবাজিসহ যার তার সাথে অযথা মারপিট করেন। তাকে ভয়ে কেউ কিছু বলে না। কারণ তিনি পৌরসভায় নৈশ প্রহরীর চাকুরী করেন। আর এটাকে পুঁজি করে মুন্ডুমালা বাজারে ত্রাস সৃষ্টি করতে চান। সে নিয়োমিত ডিউটি করেন না। এরআগে পৌরসভার এক কর্মচারীকে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন। আমরা অনুরোধ করব মেয়র সাহেব যেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ করেন। আর যদি না করেন তাহলে বুঝব তাদের সহায়তায় সবুজ নিজের কর্ম রেখে এধরণের অপকর্মে লিপ্ত থাকেন ।
তবে, অভিযুক্ত সবুজ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্ক বির্তক হয়। আমাকে ফাঁসাতে দোকানের কাঁচের গ্যালারি উজ্জল নিজেই ভাঙ্গতে গিয়ে হাত-পা কেটেছে বলে দাবি করেন সবুজ।
দোকান মালিক আহসান হাবিব উজ্জল জানান, গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঈদ উপলক্ষে নতুন মালামাল নিয়ে এসেছি। এমন সময় তিনি আমার কাছে কয়েক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং না দিলে আমার সমস্যা হবে। এমন সময় দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে কাঁচের গ্যালারি ভাঙ্গতে শুরু করে। কোনভাবেই কথা না শুনলে বাধা দিতে গেলে কাচ দিয়ে আঘাত করে হাত পা ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে। পাশের ব্যবসায়ীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আমাকে মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যবসা শুরু করেছি। কারণ সামনে ঈদুল আযহা। একদিন দোকান বন্ধ করে রাখলে অনেক ক্ষতি হবে বলে খুলেছি।
এব্যাপারে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) আইসি মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। আজকের তানোর