রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪৪ pm
ক্রীড়া ডেস্ক : শেষ কয়েক বছরে হঠাৎ করেই যেন বদলে গেছে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং বিভাগ। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে পেসার রবিউল ইসলাম ৫ উইকেট নেওয়ার পর এই ফরম্যাটে আর কেউই ‘ফাইফার’ এর দেখে পাচ্ছিলেন না।
৮ বছর পর ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডে ৫ উইকেটের স্বাদ পান এবাদত হোসেন। এবার তো বছর ঘুরতে দেননি খালেদ আহমেদ, কয়েকদিন আগেই উইন্ডিজ সফরে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি বোলার।
সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের পেসারদের পারফরম্যান্স শুধু ‘ফাইফার’ দিয়ে মাপলে ভুল করা হবে। টেস্টের সঙ্গে অন্য দুই ফরম্যাটেও নিজেদের জায়গা শক্ত করেছেন পেসাররা। টাইগার পেস ব্যাটারির বেশিরভাগ বোলারের শক্তির জায়গা গতি আর আগ্রাসন।
বলা হয়ে থাকে পেসার তাসকিন আহমেদের হাত ধরেই ‘নতুন’ শুরুর বার্তা দিয়েছে পেস বিভাগ। এজন্য অবশ্য কিছুদিন আগেই তাসকিনকে প্রশংসা বন্যায় ভাসিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তাসকিন অবশ্য চোটের কারণে উইন্ডিজ সফরের টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন না। প্রায় ৩ মাস পর জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। রঙ্গিন পোশাকের এই সিরিজ শুরুর আগে মঙ্গলবার সেন্ট লুসিয়ায় দলীয় অনুশীলনে কাজ করেছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে। সেখানে ডোনাল্ড তাসকিনকে গতি আর আগ্রাসন ধরে রাখার বার্তা দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমকে তাসকিন বলেন, ‘আমি ওর (ডোনাল্ড) সাথে কথা বলছিলাম যে আমি ইনজুরি থেকে এসেছি এখন আমার দায়িত্বটা কী হবে? ও আমাকে এটাই বুঝাতে চাচ্ছিল যে, তুমি যে টাইপের বোলার, তোমার দায়িত্ব হচ্ছে গতি আর আগ্রাসন।
কিছু সময় তুমি অনেক রান দেবে, কিছু সময় তুমি একাই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেবে- কিন্তু তোমার দায়িত্ব থেকে তুমি নিজেকে সরাবে না। তোমার যেটা রোল, সেটাতেই তুমি দৃষ্টি রাখো। দিন যত যাবে, রিদম আরো ভালো হবে। আমরা আরো কাজ করব সামনে।’
ডোনাল্ডের সঙ্গে তাসকিনের রয়াসনটা এখনো সেভাবে জমেনি। দক্ষিণ আফ্রিকান এই কিংবদন্তি যোগ দেন সবশেষ প্রোটিয়া সিরিজে। সেই সিরিজ খেলতে গিয়েই চোটে পড়ে ছিটকে যান তাসকিন। প্রায় ৩ মাস জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অনুশীলন করে উচ্ছ্বসিত ডানহাতি পেসার।
তাসকিন বলছিলেন, ‘আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল লাগলো যে প্রায় তিন মাস পর দলের সঙ্গে পুরোপুরি একটা অনুশীলন সেশন করলাম। ফিল্ডিং, বোলিং ব্যাটিং সবকিছুই করলাম। শুরুতে একটু জড়তা ছিল, তারপর যখন শুরু করলাম সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে গেছে। শেষ করার পর খুবই ভালো লাগছে।’
নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেকটা সিরিজই চ্যালেঞ্জ, প্রত্যেকটা ম্যাচ নতুন করে শুরু হয়। তো চাইব আমার যে আমার বেসিক প্রক্রিয়া সেটা ঠিক রেখে সামনে এগিয়ে যেতে।
নিজের আরো বেশি ইমপ্রুভ করতে যেসব দুর্বলতা আছে, আসলে এখনো অনেক দুর্বলতা আছে, যেসব জায়গায় ইমপ্রুভমেন্ট এর জায়গা আছে সেগুলো আরো পরিপূর্ণ বোলার হিসেবে তৈরি করতে পারি সামনের দিনে এবং দলকে বেশি বেশি জয় উপহার দিতে পারি এটা লক্ষ্য থাকবে।’ সূত্র : পদ্মাটাইমস