মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৫২ am
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ফুঁসে তুলতে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের কন্ট্রোল থেকে অস্বাভাবিক ভাবে চলছে লোডশেডিং। একারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পুরো উপজেলায় দিনে ও রাতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এদিকে যেমন প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে হুমকির মূখে পড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখানে বৃষ্টি নামলেই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারি গ্রাহকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তার মধ্যে কোন বড় ধরণের ঝড়ো-হাওয়া না হলেও কারণে অকারণে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ এলাকাধীন এরিয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে। গত শনিবার ও রোববার ভোর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। এছাড়াও গত দু’সপ্তা ধরে মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাতের পর ভোরে আসলেও আবার সকাল থেকে লোডশেডিং শুরু হয়। এখানে এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে গিয়ে লোকসানের মূখে পড়ছেন উপজেলার ছোট বড় শিল্প কলকারখানার মালিকরা। এছাড়াও তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর এলাকার মার্কেট ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাতে তাদের ব্যবসা-ব্যাণিজ্য বন্ধ হবার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়ে।
এনিয়ে তানোর থানার মোড়ের কম্পিউটার ব্যবসায়ী রাজিব, সেলিমসহ, মোবাইল ও ফ্যাক্সি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন, ফটোষ্ট্যাট ব্যবসায়ী রুস্তম আলী ও মুন্ডুমালা বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী শিশির, মাসুদসহ আরো অনেকে জানান, গত দু’সপ্তা ধরে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্নক ধ্বস নেমেছে। সামনে কোরবানি ঈদের বাজার নিয়ে তারা চরম বেকায়দায় পড়েছেন।
এবিষয়ে তানোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ চালিত গভীর অগভীর নলকূপ (পাম্প) বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং একেবারেই কাম্য নয়। এনিয়ে তিনিসহ এলাকার সচেতন মহল বিদ্যুৎ কন্টোলকারীদেরকে দায়ী করে বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি করে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ফুঁসে তুলতে এমন উদ্দেশ্য মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এবিষয়ে তানোর পল্লীবিদ্যুৎ এরিয়া অফিসের ডিজিএম জহরুল ইসলাম বলেছেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় ২৪ ঘন্টায় মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা লোডশেডিং থাকে। তবে, প্রাকৃতিক সমস্যার সৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সাময়িক এই অসুবিধা গ্রাহকদের মেনে নেয়া উচিত বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে পিডিবির তানোর অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, কাটাখালী গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও মেডিকেল মোড়ে গাছ সড়ানোর কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এসব ক্ষেত্রে তাদের কোন কিছু করার থাকে না। তবে, অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কোন প্রশ্নই উঠে না বলে জানান তিনি। আজকের তানোর