শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩২ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
বাগমারার ক্লিনিকগুলোতে অবৈধ গর্ভপাতে বাড়ছে মৃত্যু ঝুকি

বাগমারার ক্লিনিকগুলোতে অবৈধ গর্ভপাতে বাড়ছে মৃত্যু ঝুকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চুপিসারে ঘটনো হচ্ছে অবৈধ গর্ভপাত।

এসব গর্ভপাতের অধিকাংশই কিশোরী ও যুবতী। এসব কিশোরী ও যুবতীরা বিবাহ বর্হিভ’ত সম্পর্ক স্থাপন করে পরবর্তীতে জন্মনিয়ন্ত্রন মূলক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা নিজেদের অজান্তেই গর্ভবতী হয়ে পড়ছে। পরে পরিবার ও সমাজে হেয়প্রতিপন্ন হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয় কোন ক্লিনিকে গিয়ে মোটা অংকের টাকার চুক্তি করে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে। এভাবে গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে প্রসূতিরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ঘটনা গুলো থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক কিছু প্রভাবশালী নেতা-ক্যাডারদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি উপজেলার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর ও হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকার বেশ কিছু ক্লিনিক ঘুরে এমন ভয়াবহ চিত্রই লক্ষ করা গেছে। শুধু মাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এমন ঘটনার বিধিনিষেধ থাকায় এ নিয়ে প্রশাসন সহ কারো কোন মাথা ব্যাথাই নেই। ফলে দিন দিন অবৈধ গর্ভধারন ও গর্ভপাতের পরিমান বেড়েইে চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে সামাজে বিভিন্ন অপরাধ ও পারিবারিক কলহ।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, গতমাসে ভবানীগঞ্জ আঁত-তাবারা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমন গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে এক প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে থানা পুলিশ সহ স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মী কর্মীদের মুখ বন্ধ করতে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করতে হয় ওই ক্লিনিক মালিককে। এছাড়া চলতি মাসের ২২ জুন ভবানীঞ্জের মাদার মিশন ক্লিনিকে আরো একটি অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই ক্লিনিক থেকে মাঝে মধ্যেই মৃত শিশুকে কার্টুনে ভরে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা আঁচ করতে পারলেও ভয়ে কেহ মুখ খোলার সাহস পায় না।

ভুক্তভোগিরা জানান, উপজেলার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় নামমাত্র গড়ে ওঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসবের কোন বৈধ লাইসেন্স নেই । নেই কোন যন্ত্রপাতি, ডাক্তার ও অবকাঠামো। তারা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্র্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে চাঁদা নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার নামে অবৈধ রমরমা ক্লিনিক ব্যবসা।

স্থানীয়দের মতে, এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়মিত দেকভাল ও মনিটরিং করার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও বেসনকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টক মালিক সমিতি থাকলেও তাদের কোন কার্যক্রমই চোখে পড়ার মত নয়। ফলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড।

এরা গ্রামের সহজ সরল রোগিদের বাগিয়ে এনে ছোট খাট অসুখ বিসুখকে বড় করে দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপরেশন করতে বাধ্য করে। এছাড়া কোন পরীক্ষার প্রয়োজন না থাকলেও ৪/৫ টি পরীক্ষা ধরিয়ে গরীবের অর্থের সর্বনাশ করা হয়। স্থানীয়দের মতে এভাবে চিকিৎসার মহান পেশাকে কলুষিত করে এসব ক্লিনিক মালিকরা গরীব শোষন করে রাতারাতি বহুতল ভবনের মালিক বনে যাচ্ছে। অথচ রোগিরা ক্রমেই আরো রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার নামে জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হয়ে পড়ছে।

এসব বিষয়ে ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডাঃ সাব্বির আহম্মেদ অনিক জানান, আমরা ক্লিনিকগুলোতে স্বচ্ছতা ও সরকারি বিধিবিধান গুলো শতভাগ বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথাও কেহ চিকিৎিসার নামে ভোগান্তি ও হয়রানীর শিকার হলে এবং এসব বিষয়ে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.