মঙ্গবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:২৩ am
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর পৌরভবন যেন আওয়ামী লীগ নষ্টের কারাখানাসহ বিদ্রোহীদের আতুর ঘর হিসেবে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। যেখানে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোন দলীয় সভা করা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন নৌকা বিরোধীরা বিদ্রোহীদের গডফাদার বিতর্কিত সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান।
জানা গেজে, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে তানোর পৌর ভবনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নৌকা বিরোধীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন বিতর্কিত সভাপতি গোলাম রাব্বানী। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় প্রধানবক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল সরকার পাপুল। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক প্যানেল মেয়র আরব আলী প্রমুখ।
তানোর পৌর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরোর উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান, তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মৃদুল কুমার ঘোষ। ছাড়াও তাদের অনুসারীরা।
এসময় বক্তারা বলেন, কার কত জনপ্রিয়তা আছে সেটা প্রমান করা হবে সম্মেলনে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাব্বানী না পেলেও ফারুক চৌধুরী পাবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি যেন মনোনয়ন না পান সেজন্য আমাদেরকে কঠোর হতে হবে। এক কথায় ফারুক চৌধুরীকে হঠাও।
সভায় থাকা এক তৃনমুলের কর্মী জানান, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন হবে খোলা মাঠে। এটি জাতীয় পোগ্রাম অপেন মাঠে করতে পারে না আবার শুধু এমপির ও দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না। তাদের মঞ্চে শুধু গলাবাজি।
পৌরসভার ভিতরের মুল গেটে হয় সভা। আর রাব্বানী সাইদুরের গাড়ী ছিল ভবনের পূর্বদিকে। যাতে কেউ বুঝতে না পারে। কারণ রাব্বানী এসেছে জানতে পারলেই পাওনাদারেরা চলে আসবে। এজন্য তানোরে আসলে গোপন ভাবেই আসেন তিনি।
তানোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুবারের কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তরুন জনপ্রিয় নেতা তাসির উদ্দিন জানান, পৌরসভা সরকারি প্রতিষ্ঠান এখানে দলীয় সভা করার কোন বিধান নাই। আর পৌরসভা হচ্ছে নৌকা বিদ্রোহীদের আতুর ঘর। তারা সভার নামে নৌকা ফুটো ও ভাঙতে মরিয়া। পৌরসভায় হলরুম আছে কোন সভা হলে ভাড়া নিতে পারবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী জমকালো ভাবে পালন হবে। আর বিদ্রোহীর গডফাদারেরা পৌর ভবনের নিচের বারান্দার মুল গেট বন্ধ করে সভা করছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করব।
তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন নি। পরে তিনি এই প্রতিবেদককে ফোন দিলে জানতে চাওয়া হয় পৌরসভায় দলীয় সভা করা যায় কি না তখন তিনি জানান, কোন সভা হয়নি বলে এড়িয়ে যান। গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে সভা করেছি। পৌরসভায় দলীয় সভা করা যায় কি না জানতে চাইলে তিনি জানান অল্প পরিসরে করা হয়েছে। আজকের তানোর