মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩৮ pm
ডেস্ক রির্পোট : দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ আমান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং দুই পরিচালককে ঋণ প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট।
গত ২৩ মে থেকে আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ও পরিচালক শফিকুল ইসলাম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। আদালতের নির্দেশ না থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ তাদের তিন ভাইকেই সাধারণ হাজতির মধ্যে ও একজনকে সেলে রেখেছেন বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে।
রাজশাহী মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম আরও জানান, আমান গ্রুপের মালিক তিন ভাই গত সপ্তাহে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে জানা গেছে, হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করেননি। রাজশাহীতে এ সংক্রান্ত নথিপত্র এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মহানগর পিপি আরও জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য আছে। ধার্য তারিখে তারা আবার জামিন চেয়ে আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যমুনা ব্যাংকের ৮৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মামলায় আমান গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন রাজশাহী মুখ্য মহানগর হামিকের আদালত। গত ২৩ মে এ মামলায় জামিন নিতে রাজশাহীর অতিরিক্ত সিএমএম আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে রাজশাহীর অতিরিক্ত সিএমএম রেজাউল করিম, আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আমান গ্রুপের তিন কর্ণধার পরস্পর ভাই। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুন্দরপুর বাগডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়ায় আমান গ্রুপের বিকল্প করপোরেট দপ্তর রয়েছে। ঢাকার উত্তরায় আমান গ্রুপের করপোরেট অফিস। রাজশাহী ঢাকা গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ সিরাজগঞ্জনসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আমান গ্রুপের অধীন ২২টি শিল্প কারখানা রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৩ মে কারাগারে যাওয়ার পর গত ২৯ মে আমান গ্রুপের তিন মালিকের জামিন চেয়ে আবেদন করা হলেও রাজশাহীর অতিরিক্ত সিএমএম রেজাউল করিম পুনরায় তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এদিকে গত সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন তারা। কিন্তু হাইকোর্ট তিনজনের জামিন মঞ্জুরের আদেশ না দিয়ে নথি নিম্নআদালতে জামিনসংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নথি পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তারেক কামাল রোববার যুগান্তরকে বলেন, সিআইপি হলেও আদালতের নির্দেশনা না থাকায় আমান গ্রুপের তিন মালিককে সাধারণ হাজতির মর্যাদায় কারাগারে রাখা হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর