মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২৫ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : জমিগুলো সরকারের হলেও কেনাবেচা করছেন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন। খাস জমি তারপরও অদৃশ্য ক্ষমতায় শাহাবুদ্দিন গরীব অসহায় ব্যক্তিদের বাড়ি করে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।
টাকা নিয়ে কাউকে জমি দিয়েছেন আবার অনেকের সাথে করেছেন প্রতারণা বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একজন সচেতন শিক্ষিত ব্যক্তি যদি সরকারের জমি নিয়ে গরীব মানুষের সাথে প্রতারণা করেন, তাহলে কি বলার আছে। তবে, তিনি অতীতে এসব করতেন না। কিন্তু চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ভূমিদস্যুতায় পরিণত হয়েছেন তিনি।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউপির গোয়ালপাড়া গ্রামের পূর্বদিকে জমি দখল কেনা বেচার ও টিনসেড ঘর তৈরির ঘটনা ঘটে রয়েছে। আর এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান আতাউরকে বললেও কোন গুরুত্ব দেন না তিনি। বরং বাণিজ্যের অংশ যায় তার কাছে। চেয়ারম্যান যদি ভাগ না খান তাহলে প্রতিবাদ হত। ফলে চেয়ারম্যানের অর্ধশত দালাল থেকে মুক্তি চায় জনসাধারণ।
জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির গোয়ালপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র শাহাবদ্দিন ইসলাম। তিনি দামি মোটরবাইক নিয়ে ঘোরেন ইউপির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। কোথাই খাস ভিপি জমি রয়েছে এজন্য এলাকার সব প্রান্তেই তার সমান বিচরণ। কিন্ত্ত একজন মানুষের ভাল গুণ থাকলে যে বিচরণটা লক্ষ্য করা যায়, তিনি সেই গুনের অধিকারী নন। তার প্রধান কাজ এলাকার খাসজমির চেক নিজের নামে কেটে, বিনা চেকে সেই জমির পজিশন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া। টাকা নিয়ে সালিশের রায় বাদি বা বিবাদীর পক্ষের মাধ্যমে সালিশ বাণিজ্য ইত্যাদি অন্যতম।
সরেজমিনে, ইউপির বাঁধাইড়, ঝিনাখৈর, ঘোলকন্দর, হরিসপুর, খাগড়াকান্দর এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য উঠে এসেছে ভূমি গ্রাসকারী শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে শাহাবুদ্দিন সমাজের স্বশিক্ষিত হতদরিদ্র ভুমিহীনদের রঙীন স্বপ্ন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে খাস জমির পজিশন বিক্রি করেছেন। কিন্ত্ত দলিল করে দেবার কথা বলে টাকা নিলেও এখানো কাউকে কোনো কাগজপত্র দলিল করে দেননি। স্থানীয়রা বলছে, ঘর প্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে নিয়েছে সাহাবুদ্দিন।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সরেজমিনে বাধাইড় ইউপির একান্নপুর মৌজার গোয়ালপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ভুমিহীনরা যার যার পজিশনে টিন দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করেছেন। এসময় গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র আব্দুল গাফ্ফর, সোলেমান আলীর পুত্র আবুল কালাম ও আবুল কালামের পুত্র আশরাফুল ইসলাম বলেন, শাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে তারা জমি কিনেছেন। তাদের দু’একদিনের মধ্য দলিল করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব ভাঁওতাবাজি কথা বলে টাকা নিলেও জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন না। আজ নয় তো কাল এভাবে মাস হয়ে গেলেও খোঁজ মিলছে না শাহাবুদ্দিনের।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহাবুদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব দুই নম্বর খাস তার নামে লিজ নেয়া আছে। তিনি কোনো টাকা পয়সা না নিয়ে বিনা টাকায় তাদের বসবাসের অনুমতি দিয়ে সমাজের উপকার করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলার মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) রাবিউল ইসলাম বলেন, দুই নম্বর খাস সম্পত্তির পজিশন বিক্রি বা সাব লীজ দেবার কোনো সুযোগ নাই। আজ রোববার অফিস থেকে লোক গিয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। আজকের তানোর