রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৯ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : আকাশে প্রচন্ড কালো মেঘ, বৃষ্টিও হচ্ছে। মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন। এদিকে, গরুকে ঘাসও খাওয়াতে হবে। মেষ বৃষ্টি অপেক্ষা করে গরুকে ঘাস খাওয়াতে যান নাইম (১৪) নামের কিশোর। কিন্তু মেঘের গর্জন বজ্রপাতে গরু বাড়িতে এলেও নাইম পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যেই সবাইকে হতবাক করে মারা গেলেন ১৪ বছরের নাইম।
তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউপির পাকুড়া গ্রামে ঘটে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনটি। নাইমের মৃত্যুতে গ্রাম এলাকায় চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন পিতা মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয় স্বজন এবং সহপাঠীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রি দেড়টা দুইটার পর থেকে শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন চলে টানা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। কালো মেঘ বৃষ্টি অপেক্ষা করে নাইম শুক্রবার সকাল আটটার দিকে বাড়ির পার্শের ধানী জমির মাঠে গরুকে ঘাস খাওয়াতে যান। সকাল প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে বজ্রপাতে করুন মৃত্যুর খবর পায় পিতামাতা সহ গ্রামবাসীরা । গরু বাড়িতে এলেও নাইম আর আসেনি ফিরে।
নাইমের পিতা হতাশায় বলছেন, কেন আমার নইম গরু নিয়ে গেল। ছেলের এমন করুন মৃত্যু মানতেই পারছি না। ছেলের মা পাগলপারা হয়ে শুধু নাইম নাইম বলে চিৎকার করছে। আর বলছে আমার বুকের ধনকে কোথাই পাব। কে আমাকে মা বলবে। পুরো গ্রামের মানুষের আর্তনাদে সবকিছু ভারি হয়ে উঠেছিল। বিকেলের দিকে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন শোকাবহ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, শান্তনা দেওয়ার কোন ভাষা নেই। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি শোকাহত পিতা মাতাকে ধৈর্য্য ধারন করার তাওফিক দান করুন এবং নাইমকে সৃষ্টিকর্তা যেন জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করেন।
তিনি আরো জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করে যদি কোন কিছু আসে তার পরিবারকে দেওয়া হবে এবং আমি যতদিন বেচে থাকব ততদিন নাইমের পরিবারের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে থাকার জন্য একান্ত চেষ্টা করব। আজকের তানোর