মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪৬ am
আব্দুস, সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে বজ্রপাতে রবিউল ইসলাম নামের এক কৃষকের ভরন গাভী ও বিধবা কৃষাণী ফেলানীর ছাগল মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে স্হানীয়রা। শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালশিরা গ্রামের ধানী জমির মাঠে ঘটে এ দূর্ঘটনা।বিশেষ করে বিধবা ফেলানী ছাগল হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। কারণ তিনি ছাগল পালন করেই জীবিকা নির্বাহ করেন এবং মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালশিরা গ্রামের মহিরের পুত্র রবিউল ইসলাম বেশ কয়েকটি গরু নিয়ে গ্রামের উপর প্রান্তে ধানী জমির ফাঁকা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায়। আর ওই গ্রামের লগর মুন্নার তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে ফেলানীও মাঠে প্রতিদিনের মতো বেশ কয়েকটি ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায়। এসময় হঠাৎ আকাশে কালো মেঘের সাথে চলে বজ্রপাত।এতে মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় বজ্রপাতে মারা যায় গরু ও ছাগল।
ফেলানী জানান, নানা কষ্ট করে ছাগল পালন করেন তিনি। বজ্রপাতে একটি ছাগল মারা গেল। খুব কষ্ট হচ্ছে বলে ভেঙে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা জানান, ফেলানীকে দীর্ঘদিন আগে তার স্বামী তালাক দেয়। পিতার বাড়িতে থেকে ছাগল লালন পালন করে। তার ৫/৬টির মত ছাগল আছে। এটাই তার মুল জীবিকার উৎস। ছাগল হারিয়ে তিনি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
উপজেলার কামারগাঁ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি ও সদস্য আলাউদ্দিন প্রামাণিক জানান, তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। কোন ধরনের সহযোগিতা আসলে অবশ্যই তাকে দেবার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও একই দিন মালশিরা গ্রামের রবিউল ইসলামের ভরন গাভী বজ্রপাতে মারা গেছে। তিনিও গরু লালন পালন করেন। তারও রয়েছে ৪/৫ টির মত গরু। আজ তার একটি ভরন গাভী বজ্রাপাতে মারা যাওয়ায় তিনি ভেঙ্গে পড়েন।
রবিউল জানান, মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিকট বিকট শব্দে বিজলি চমকায় ও বজ্রপাত ঘটে। আর এসময় আমার ভরন গাভীটি মারা যায়। বাকি গরুগুলো আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, সরকারি ভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা আসলে অবশ্যই তারা পাবেন। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রচেষ্টা করা হবে। আজকের তানোর