রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২৬ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : কেন সম্মেলন নিয়ে সার্কাসের মত কান্ড চালানো হল। এর দায় ভার কার। কার জন্য বারবার সার্কাস খেলা হচ্ছে। কার ইশারায় সম্মেলন নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। স্থগিত হওয়ায় যেন বিদ্রোহীর গডফাদার রাব্বানী-মামুনের বিদ্রোহী অনুসারীদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে স্হগিত হওয়ায় তাদের বিশাল জয়।
আর নৌকার কর্মীরা হতাশ। কি পাগলের প্রলোভের মত হয়ে পড়েছেন রাব্বানী-মামুন। মনে হচ্ছে তারা আজীবনের জন্য তানোর আ’লীগের পদে বহাল। কি তাদের রাজনৈতিক বোকামী। আরে স্হগিত মানে তো কিয়ামত পর্যন্ত নয়। হয় তো সময় বা কোন কারনে স্হগিত হতেই পারে। তাই বলে তো আজীবনের জন্য নয়। এরআগে ২১ মার্চ তানোর আ’লীগের সম্মেলন হবার দিন ধার্য্য হয়েছিল। সেটাও কোন কারনে স্হগিত হওয়ার পর পুনরায় আগামী ১৬ জুন ধার্য ছিল। তবে, অদৃশ্যে স্হগিত আর এটা নিয়ে রাব্বানী আত্মহারা।
ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এমপি ফারুক চৌধুরীর ছবি দিয়ে লিখেছেন এই মানুষটার জন্য সম্মেলন স্থগিত। তার এমন পোস্ট হাস্যকারে পরিণত হয়েছে। ফলে সম্মেলন হবে অতি শীঘ্রই এবং রাব্বানী-মামুন থাকবে না এটাই এখন তৃনমুলের অভিমত।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী বলছে, এক রকম আর করছে অন্যরকম । তানোরে আ’লীগের সম্মেলন নিয়ে বারবার দিন হচ্ছে তো বদলে যাচ্ছে। এটা কেমন সিদ্ধান্ত। বর্ধিত সভায় জেলার নেতারা পরিস্কার করে বলেছেন যারা মঞ্চ থেকে পালিয়ে যায় তারা নেতার যোগ্যতা হারিয়েছে। তারা নৌকার বিরুদ্ধে যেভাবে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছে তারাই যদি নেতাদের পছন্দের ব্যক্তি হয় ঘোষণা করবে। তাই বলে এসব কেন।
কতবার তৃনমুল নেতাকর্মীরা হতাশায় পড়বেন। সেদিন বর্ধিত সভাতে কেন এতো সার্কাস দেখবে তৃনমুল। আর কি এমন অদৃশ্যে কোন কারণ ছাড়াই স্হগিত করা হয়েছে। তাহলে কি রাব্বানী-মামুনকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা লাগবে। না কি রাখতে হবে, তাহলে থেকেই যাক। যেহেতু তারা ছাড়া হবে না থাকবে না। যদি থাকেন তাহলে সম্মেলন সম্মেলন খেলা কেন। কার ইশারায় এসব খেলা। না কি ক্যাশ কামালের ক্যাশ কারিসমা। স্হগিত হওয়ার কারনে মনে হচ্ছে বিদ্রোহীরা উল্লাসে ফেটে পড়ছেন। কিন্তু তাদেরও তো ভাবার বিষয় ১৬ জুন স্হগিত হয়েছে। সারাজীবনের জন্য তো হয়নি স্হগিত। এতেই তারা আনন্দে আত্মহারা। ফলে সম্মেলনও হবে রাব্বানী-মামুনও যাবে।
জানা গেছে, পদে থেকে বিদ্রোহ নেতাকর্মীদের সাথে বিদ্রোহ তাহলে তাদের পদের উপর এতো লালসা কেন। যারা এলাকায় পাওনাদারদের চাপে সভা সমাবেশ করতে পারেন না। তারা পদে থেকে কি পাওনাদারদের বুঝাতে চাচ্ছেন যে আমরাই সব। এটাই নাকি তাদের মুল উদ্দেশ্য বলে গুঞ্জন উপজেলা জুড়ে। কেনইবা বারবার দিন তারিখ ধার্য হওয়ার পরও কেন এমন ধোয়াসা। আর এজন্য দায় কার। কারা এসব করছেন। কিসের জন্য করছেন, কেন নেতৃত্ব হারানোর এতো ভয়।
নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বানিজ্য হবে না। মুলত এজন্যই সম্মেলন বন্ধ করতে নানা ফন্দি-ফিকির এবং সার্কাসের জোকারে পরিনত হয়েছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। আগামী ১৬ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন ধার্য্য ছিল । কিন্তু সম্মেলন ক্যাশ কামালের বানিজ্যে স্হগিত বলে সিনিয়র নেতারা মনে করছেন। কারণ ক্যাশ কামাল নাকি টাকা পেলে সবকিছু করে বসেন।
অথচ গত ৪ জুন বর্ধিত সভায় রাব্বানী-মামুনকে মঞ্চে দেখে নৌকার পক্ষের চেয়ারম্যান ও তৃনমুল নেতাকর্মীরা চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কোন ভাবেই পরিবেশ শান্ত হচ্ছিল না। এমপিসহ জেলার নেতারা শান্ত করতে চেষ্টা চালান। বলা চলে তোপের মুখে পালিয়ে গেছেন রাব্বানী-মামুন । রাব্বানীর হাত ধরে সম্পাদক মামুন টেনে ধরে অনুরোধ করেও রাখতে পারেন নি। অথচ ওরাই নাকি উল্টো বলি ছড়াচ্ছে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমপি সিনেমার ভেলেনের মত নেশাখোর দের দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। এমন মিথ্যা কাল্পনিক গুজব তুলে কিনারা ন হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছেন। যা আরো সমালোচিত হচ্ছেন তারাই।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, তানোর গোদাগাড়ীতে তিলেতিলে দিনরাত শ্রম দিয়ে নিজের ব্যবসা বানিজ্য কমিয়ে নতুন দিগন্তের আওয়ামী লীগ তৈরির কারিগর এমপি ফারুক চৌধুরী। তিনি সাবেক জেলা সম্পাদক ও সভাপতি এবং শিল্পপ্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তানোরের বরেন্দ্র অঞ্চলের গর্ভের সন্তান। অথচ তাকে ছোট করার জন্য এবং রাজনৈতিকহীন উদ্দেশ্য পুরুনে ব্যানারে তাকে বিশেষ অতিথি করা হয়েছিল।
যারা আজ এমপিকে অবমাননা করার হীন চেষ্টা করছেন। তারা একটু ভাবুন চারদলীয় জোট সরকারের সময়ের কথা। তিনিই তানোর উপজেলার গর্বিত মায়ের সন্তান। তিনি তানোরের আপামর জনতার গর্বিত অভিভাবক। আমরা তার মত নেতা পেয়েছি। আবার তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগকে নতুন ভাবে এক উচ্চ শিকড়ে নিয়ে গেছেন। বিশেষ অতিথি করার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেতাকর্মীরা। এমন ব্যানার নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। যারা সম্মান দিতে জানে না। তাদের কিভাবে সম্মান করবে। কিভাবে সম্মান পাবে।
চেয়ারম্যান ময়না বলেন, সম্মেলন নিয়ে আর কত নাটক দেখব। যারা দলের সাথে বিদ্রোহ করেছেন। কেন্দ্র থেকে পরিস্কার ঘোষণা বিদ্রোহীর মদদদাতারা কোন পদে আসতে পারবে না। সেদিন বর্ধিত সভায় কি হয়েছে সবকিছু জানান জেলার নেতারা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারা ছাড়া তানোরের আওয়ামী লীগে যোগ্য কেউ নেই। দীর্ঘ ছয় সাত বছর ধরে বিদ্রোহ করে আসার পরও তারাই মনে হচ্ছে সঠিক। তবে, সম্মেলন আজ হোক কাল হোক তৃনমুল এর উচিত জবাব দিবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সিনিয়র নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা বিশ্ব ভারতের বিরুদ্ধে এক হয়ে তাদের সবকিছু বয়কট করছে। আর রাব্বানী ভারতে আসাম মন্দিরের কিছু পাঠার ছবি দিয়ে এক নেতাকে তুলনা করেছেন। যা অত্যান্ত কষ্টের বিষয়। আসলে নিজেই একটা পাঠা আর অন্যজনকে বলছেন। পাঠা না হলে পৌরসভার ভোট না করে এমপির স্বপ্ন দেখেন তাহলে তাকে পাঠাও বলা ঠিক ননয়, গাধার চেয়েও গাধা। সবকিছু হারিয়ে ভুলভাল বকছেন। রাব্বানীর বিরুদ্ধে মামুন ২০০৯ ও ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন মামুন। আর এখন তারা ফেভিকলের আঠার মত হয়ে আছেন।
তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার জানান, কোন কারনে সম্মেলন স্থগিত হতেই পারে। এমপি মহোদয়ের একান্ত চেষ্টা এমন সম্মেলন হবে যা তানোরে ইতিহাস হয়ে থাকবে। এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কোন কারন নেই এবং সম্মেলন নিয়ে মিথ্যাচারে কর্নপাত না করতে নেতাকর্মীদের আহবান জানান তিনি। আজকের তানোর