শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৮ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
তানোরে মানহীনকর শিক্ষক সমিতির প্রশ্নপত্রে বিব্রত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

তানোরে মানহীনকর শিক্ষক সমিতির প্রশ্নপত্রে বিব্রত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির চাপিয়ে দেওয়া মানহীন প্রশ্নপত্র নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন শিক্ষক মহল বলে অভিযোগ উঠেছে  ।শুধু তারাই নয় শিক্ষার্থীরাও বেকায়দায় পড়েছে। ফলে এসব প্রশ্নের কারনেই মেধা শূন্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চলতি মাসের ২ জুন উপজেলায় অর্ধবার্ষিক পরিক্ষা শুরু হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক সমিতির আওতায় রয়েছে ৫৩টি স্কুল। এসব স্কুলে শিক্ষক সমিতি থেকে জোরপূর্বক প্রশ্নপত্র চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব প্রশ্নপত্র এতই মানহীন যা কল্পনাতীত।

বেশিকিছু প্রধান শিক্ষকরা জানান, নিয়ম হচ্ছে যে বিষয়ের শিক্ষক তিনি ওই বিষয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন। কিন্তু তানোর শিক্ষক সমিতির সভাপতি চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন জোর করে এবং এমপির ভয় দেখিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করে দিয়েছেন।  এতো মানহীন প্রশ্নপত্র আমরা শিক্ষকতা জীবনে দেখিনি। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বুঝতেই পারছেন না। শুধু হাতে প্রশ্ন নিয়ে ছুটাছুটি করছেন। তাদের কথা কি বলব আমরাই তো বুঝতে পারছি না। এই সমিতির কোন অধিকার নেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার। তারপরও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রশ্নপত্র চাপিয়ে দিয়েছেন।

উপজেলার দরগাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা সমিতি থেকে প্রশ্নপত্র নিব না। কিন্তু এমপির ভয় দেখিয়ে প্রশ্নপত্র চাপিয়ে দিয়েছেন। এভাবে চললে তানোরে শিক্ষা ব্যবস্হা অচিরেই ধ্বংস হবে। যারা তাদের সমিতির আওতায় নেই সে সব স্কুলের প্রশ্নপত্রের যে মান তার পাঁচ ভাগও নেই তানোর শিক্ষক সমিতির প্রশ্নপত্রে। শুধু তাই নয়, তারা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরও টাকাও দিচ্ছে না।

উপজেলার চন্দনকোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, তানোর শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা এমপি মহোদয়। তার নাম করে সভাপতি ও সম্পাদক এসব মানহীন প্রশ্ন দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্হা ধ্বংস করার পাঁয়তারা শুরু করেছেন। তারা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভাতাও দিচ্ছে না। আমার চাচাকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকার জন্য কয়েকমাস ধরে ঘুরেও লাগাল মিলছে না তাদের।

তিনি আরো জানান, এমপিকে সমিতির উপদেষ্টা করে সভাপতি ও সম্পাদক যা খুশি সেটাই করছেন। আগামীতে আর সমিতিতে থাকব না। এতো অনিয়ম দূর্নীতি মেনে নেবার নয়।

উপজেলার বনগাঁ চকরহমত স্কুলের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক মাহবুর জানান, প্রশ্নপত্র মানহীনকর। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কি করার আছে। এভাবে প্রশ্ন দেওয়া ঠিক নয় বলে ক্ষোভ জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু শিক্ষকরা জানান, এমপি মহোদয় সমিতি উপদেষ্টা। এই এলাকার শিক্ষা ব্যবস্হা উন্নত করতে সমিতি করেছেন। কিন্তু দুই শিক্ষক নেতা সেটাকে পুজি করে বাণিজ্যিক করণ করছেন। তারা যে প্রশ্ন দিয়েছেন তা একেবারেই মানহীন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরো উপজেলায় মাধ্যমিক ও নিম্ম মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৭টির মতো। তার মধ্যে তানোর সমিতির আওতায় ৫৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা এতোগুলো প্রতিষ্ঠানে তানোর সমিতির প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা নিতে বাধ্য করছে। বাকিগুলো বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা হচ্ছে।

তানোর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন জানান, সারাদেশে সমিতির প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা হয়। আমাদের আলাদা সমিতি, আমাদের প্রশ্নপত্রে ৫৩টি স্কুলে পরিক্ষা হচ্ছে। এভাবে শিক্ষাকে ভাগ করা যায় কি না এবং আপনাদের প্রশ্নপত্র একেবারে মানহীনকর জানতে চাইলে তিনি জানান, মানহীনকর সঠিক নয় বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।

তানোর শিক্ষক সমিতির সভাপতি চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, আপনারা সাংবাদিক সব বিষয়ে মাথা দেয়া ঠিক নয়। সমিতির উপদেষ্টা এমপি সাহেব আপনাদের বুঝতে হবে। এমপি কি আপনাকে প্রশ্নপত্র দিতে বলেছে জানতে চাইলে কোন জবাব না দিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, তাদের প্রশ্নপত্র তৈরি করার কোন নিয়ম নেই। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, কিন্তু তারাও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে জানান এই কর্মকর্তা। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.