মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:১৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : বাঘায় গলায় ফাঁস দিয়ে পৃথক দু’টি স্থানে ঝুলছিল দুই জন। এরমধ্যে একজনের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরজনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
রোববার (১২-০৬-২০২২) দিবাগত রাতে অপমৃত্যুর এই ঘটনা ঘটেছে বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর ও দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে । এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়,রোববার রাতে নিজ শয়ন কক্ষে ব্যান্ডেজের গজ কাপড় গলায় জড়িয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিল উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের রমজিত হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৮)।
আরিফের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম জানান,স্থানীয় বাজার থেকে রাত ১০ টায় বাড়িতে ফিরে তাকে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ব্যান্ডেজের গজ (কাপড়) গলায় জড়িয়ে ঝুলতে দেখেন। তার শরীরে ব্যান্ডেজ করা গজ কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, তার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকেই স্বাভাবিক আচরন হারিয়ে ফেলে বদমেজাজি হয়ে পড়ে। নানান কারণে, অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করতে পারে বলে ধারনা তার।
স্থানীয় নির্ভযোগ্য সুত্রে জানা যায়, প্রথম বিয়ের পর আরিফুলের সেই স্ত্রী চলে যায়। প্রায় ৩ মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার অস্বাভাকি আচরনে তাকে রেখে পরের স্ত্রীও চলে যায়। তাকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে শ্বশুর পক্ষের লোকজের কাছে লাঞ্চিত হয়েছে। এর পর থেকে বদমেজাজি হয়ে পড়ে। যার কারণে মায়ের গায়ে হাত তুলতেও বাদ দেয়নি।
চন্ডিপুর বাজারে তার যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল,বছরখানেক আগে সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে। বাজুবাঘা ইউনিয়ন আওয়ামীলেিগর সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, রোববার রাতে ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে নিজেই নিজের শরীরে ইনজেকশন পুস করেছিল। সেখানে ক্ষত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসে। ক্ষতস্থানে গজ কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করা ছিল। ব্যান্ডেজের সেই কাপড় দিয়েই গলায় ফাঁস দিয়েছিল।
পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ ছিলনা বলেই পুলিশ লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় জানাযা নামাজ শেষে এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর খবরে পরের স্ত্রী ও তার পরিবারের কোন লোকজন আসেনি বলে জানান এই নেতা।
একইদিন রোববার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ির পশ্চিমের বাগানে আম গাছে গলায় রশি দিয়ে ঝুলছিল লিয়াকত আলী(৪০) । সে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মৃত মহব্বত উল্লার ছেলে।
লিয়াকতের ছোট ভাই আকরাম হোসেন বলেন, ভোর রাতে (সোমবার,১৩ জুন) বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভাইয়ের সাথে ভাবির মনোমনিল্যে চলছিল। যা নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তিতে ছিল । সেই কারনে ভাই আত্নহত্যা করেছে বলে দাবি তার। তিনি (আকরাম) বাদি হয়ে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম জানান, আরিফুলের পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ ছিলনা। তার মৃত্য রহস্য নিয়েও কোন সন্দেহ ছিলনা। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত নিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লিয়াকত আলীর মৃত্যু রহস্য নিয়ে সন্দেহ ছিল। তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়না তদন্তের জন্য রামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। আজকের তানোর