সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩৬ pm
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও রমরমা ভাবে চলছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম মুন্ডুমালা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দি পদ্মা এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আসনারা ক্লিনিক চলছে একই ভাবে। কয়েকদিন আগে সিভিল সার্জন অভিযান দিলে তারা টের পেয়ে পালিয়ে যান। তারপরও বাহিরে তালা লাগিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা।
এসব ক্লিনিকে রোগী মরার অভিযোগও রয়েছে অহরহ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান চালু করতে দেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। তা না হলে প্রকাশ্যে কিভাবে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে চিকিৎসার নামে করে ব্যবসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু মুন্ডুমালা রাস্তার মুন্ডুমালা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ির পূর্ব দিকে মুন্ডুমালা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে কোন অনুমোদন ছাড়াই চলছে। সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেন। অভিযানের সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তোহিদ পালিয়ে যান। তার পরের দিন থেকে আগের নিয়মেই চলছে।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাহিরে বন্ধ ছিল। কিন্তু ডাকতেই এক মহিলা দরজা খুলে দেন। ভিতরে রিসিভ সন ও রোগী বসার কয়েকটি চেয়ার। পরের বিশাল রুমে শিক্ষার্থী বসার অনেক বেঞ্চ। আসেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক প্রকাশ নগর গ্রামের হাজি আব্দুল মালেকের পুত্র তোহিদ।
তিনি জানান, বেঞ্চে বাড়ির মালিক শিক্ষক করিম প্রাইভেট পড়ায়। উপর তালায় সবকিছু আছে। সিভিল সার্জন থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করছি বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করে চলে যান তিনি। জোহরের নামাজ শেষে অনেকে এসে বলেন, কোনদিন ডাক্তার দেখলাম না। অথচ সাইনবোর্ডে কত ডাক্তারের নাম।
এরা অসহায় দরিদ্র মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে। শুধু এই প্রতিষ্ঠান না আসনারা ও পদ্মা নামের আরেক ক্লিনিকেরও একই অবস্থা। এদেরকে কেন সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জেল দেয় না ও জরিমানা করে না। তারা সমাজের বড় অপরাধী।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোনভাবেই এসব প্রতিষ্ঠান চলবে না। মর্মে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরও চালালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি। আজকের তানোর