সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩৫ pm
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ হোসেন খাঁন ও কর্মচারী হালিমের মধ্যে হাতাহাতি ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের ২ জুন বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালিন সময়ে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অফিস পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে উভয়ের শাস্তি মুলুক ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন এলাকাববাসী।
এছাড়াও ওই অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী আরিফুল ইসলাম এক উপকার ভোগীর মোবাইল থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কৌশলে চুরি করে নেন। গত রোববার দুপুরের দিকে ঘটে এই ঘটনা। ফলে সমাজসেবা অফিসে একের পর এক কান্ডে বইছে সমালোচনার ঝড়।
তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, চলতি মাসের গত ২ তারিখ বৃহস্পতিবার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খাঁন মাঠকর্মী আব্দুল হালিমের ফাইলে ভুল ধরে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। হালিম এমন গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে কর্মকর্তা রেগে তাকে থাপ্পড় দেন। শুরু হয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে মারপিট। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খাঁনের মুখমন্ডল ক্ষত-বিক্ষত হয়। এঅবস্থায় অন্য কর্মচারীদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। এনিয়ে সমাজসেবা অফিসার হালিমকে বিবাদী করে তানোর থানায় জিডি করেন।
আজ (৬ জুন) সোমবার সকাল ১১টার দিকে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তার ঘরে তালা মারা ও কর্মচারী হালিমও উপস্থিত ছিলেন না। এসময় দেখা হয় রবিউল নামের অফিস সহকারীর সঙ্গে। তিনি জানান, স্যার জেলা মিটিংয়ে আছেন। আর হালিমও অফিসে আসেনি। মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কিছুই দেখিনি। কিন্তু ঘটনা বিষয়ে শুনেছি।
এবিষয়ে কর্মচারী আব্দুল হালিমের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মারপিটের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, স্যার আগে থেকেই অযথা খারাপ ভাষায় গালমন্দ করছিল। নিষেধ করা মাত্রই আমাকে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্যারের মুখমন্ডল ক্ষত হয়ে রক্ত বের হওয়া শুরু করে বলে জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, স্যারকে হালিম মেরে মুখমন্ডল রক্তাক্ত করে দেয়। এরআগে স্যার হালিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চর-থাপ্পর দেন। এঘটনায় কেউ অফিসে আসেনি।
উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির এক উপকারভোগী মোবাইল নিয়ে গত রোববার ১২টার দিকে সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী আরিফকে দেখিয়ে বলে কত টাকা আছে তার মোবাইলে। ওই সময় আরিফ মোবাইল নিয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করে উপকারভোগীকে বলে তার মোবাইল একাউন্টে ১ হাজার ৫০০ টাকা আছে।
এহেন কথা শোনে ওই উপকারভোগী টাকা তুলতে গিয়ে দোকানীকে জানান কত টাকা ছিল। দোকানদার বলেন, আপনার মোবাইলে ৩ হাজার টাকা ছিল। কিছুক্ষণ আগে ১ হাজার ৫০০ টাকা তুলেছেন। সাথে সাথে ওই উপকারভোগী আরিফকে ধরলে অস্বীকার করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোমবার সকালের দিকে উপকারভোগীর মোবাইলে ১ হাজার ৫০০ টাকা ফেরত দেন আরিফ। এবিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন খাঁন বলেন, এঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। আরিফকে সাময়িক ভাবে বদলি করা হয়েছে। টাকা চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রোববার অফিসে ছিলাম না। আমাকে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোবাইলে অবহিত করেছেন। তবে, লিখিত অভিযোগ পেলে আরিফের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এঘটনায় হালিমকে বদলি করে তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। আজকের তানোর