সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪২ pm
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহী-১ ( তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বরেন্দ্র অঞ্চলের শহীদ পরিবারের পোড়া মাটির সন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে একটি মহল আবারো মিথ্যা চার শুরু করেছেন বলে মনে করছেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃনমুলের কর্মীরা।
গেলো শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পূর্বক বর্ধিত সভা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা হরেয়েছে। সম্মেলন সামনে রেখে শনিবার সকালের দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সভা শুরু হওয়ার আগ মুহুর্তে বিক্ষুব্ধ তৃনমুল নেতাকর্মীরা বর্তমান সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে লক্ষ্য করে বিদ্রোহীর গডফাদার হাতুড়ি মোটরসাইকেল সহ বেইমান মুসতাকরা এখানে কেন। স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। এছাড়াও তারা আওয়ামী লীগের দুশমন, তারা মীর জাফর, আত্মসাৎ কারী, টাকা ফেরত চাই, নইলে কর্ম দে এধরনের নানা স্লোগান দিতে থাকেন। কোনভাবেই নেতাকর্মীদের শান্ত করতে পারছিল না কেউ। এক প্রকার বাধ্য হয়ে গোলাম রাব্বানী মঞ্চ থেকে নেমে চলে যেতে লাগেন। তখন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাব্বানীর হাত ধরে টেনে মঞ্চে বসতে বললেও বসাতে পারেন নি। অবশেষে দুজনই মঞ্চ থেকে পালিয়ে যান। এমনকি জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়াও অন্য নেতারা তাদেরকে ডেকেও আনতে পারেন নি।
এব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্ধিত সভার বিশেষ অতিথি শরিফ খান বলেন, বিগত ৭/৮ বছর ধরে রাব্বানীকে কোন জাতীয় দিবস ও দলীয় কোন সভা সমাবেশ করতে দেখা যায়নি। অবশ্য ওই সময় মামুন প্রতিটি সভা করতেন। বিগত ২০১৯ সালে মামুন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে রাব্বানী সাথে এক হয়ে যান। দুজন মিলে দলের সাথে গাদ্দারি করা শুরু করেন। শনিবার বর্ধিত সভায় দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃনমুলের নেতাকর্মীরা।
এখানে ফারুক চৌধুরী অতিথি মাত্র। তাও তাকে বিশেষ অতিথি করা হয়েছিল । রাব্বানী ছিল সভার সভাপতি আর মামুন ছিল সঞ্চালনার দায়িত্বে। তাদের নেতৃত্বে সভা হবে। অথচ তারাই পালিয়ে যাচ্ছেন। কেমন নেতা যে মঞ্চ থেকে চলে যায়। আর তারা বলছে, এমপি তাড়িয়ে দিয়েছে। এর চেয়ে মিথ্যা আর কি হতে পারে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, তৃনমুল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রান। তারাই দলের শক্তি। তৃনমুলের নেতাকর্মীরা কিছু বললে নেতাদের আশীর্বাদ। আর তাদের কথা যারা সহ্য করতে পারবে না তাদের দল না করায় ভালো। এখানে এমপি ফারুক চৌধুরী অতিথি মাত্র। তিনি কোন কথায় বলেননি। আর তিনিই নাকি রাব্বানী মামুনকে মঞ্চ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে এর চেয়ে মিথ্যা ও ভাঁওতাবাজি আর কি হতে পারে।
রাব্বান-মামুন ও তানোর পৌর মেয়র ইমরুলছাড়াও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তানোর পৌর ভবন থেকে মিছিল নিয়ে সভায় আসেন। এদিকে, পালিয়ে যাওয়ার পর রাব্বানীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাদের সাথে মারামারি করে মামলার আসামি হওয়া যাবে না। আমি পুরো বিষয় এসএম কামাল সাহেবকে জানিয়েছি। আর রাজনীতি করা যাবে না তারাই করুক রাজনীতি বলে মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করেন তিনি।
তাদের একান্ত সহচর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, বর্ধিত সভার আগের দিন আমাদেরকে নির্দেশ দেন সভা ছেড়ে যাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে মারপিট করলেও করতে হবে। কিন্তু তারাই আগে পালিয়ে গেছে। আর আমাদের কোন খোজ নেয়নি। এরা বিশ্বাস ঘাতক, তাদের কাছ থেকে দুরে থাকা ভালো।
এমপি ফারুক চৌধুরী বলেন, তারা সভার সভাপতি ও সঞ্চালক। কিন্তু তৃনমুলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন পর তাদেরকে মঞ্চে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আর এটাই সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন, তারা এতোদিন নৌকা ফুটো করতে হাতুড়ি মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ প্াির্থী হয়ে কত কি করল। আগামীর নেতৃত্ব যেন ক্লিন ইমেজের পরিক্ষিতরাই পান। যারা আওয়ামী লীগের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে তারা যেন নেতৃত্বে না আসতে পারে এজন্য জেলার নেতাদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এদিকে, রাব্বানী মামুন পালিয়ে পৌরসভায় আসলে সেখানে অনেক পাওনাদার তাদেরকে ঘিরে ধরলে কোনমতে গাড়িতে উঠেই হাওয়া হয়ে যায়। এক টানে শহরের গডফাদারের কাছে। আজকের তানোর