রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩১ pm
ডেস্ক রির্পোট : রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে বিদেশে আমের রপ্তানি শুরু করা হয়েছে। বুধবার এক হাজার কেজি ইংল্যান্ডে ও ৫০০ কেজি হংকংয়ে ক্ষিরসাপাত আমের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বিদেশে নিরাপদ আম রপ্তানির লক্ষ্যে উপজেলার নির্বাচিত কন্টাক্ট গ্রোয়ারদের নিকট থেকে চুক্তিবদ্ধ রপ্তানিকারকের মাধ্যমে এই আম পাঠানো শুরু হয়েছে।
কয়েক বছর থেকে এই আমের চালান বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস।
উপজেলা কন্টাক্ট গ্রোয়ারদের সভাপতি সফিকুল ইসলাম ছানা জানান, এর চেয়ে আনন্দের আর কি আছে। করোনার কারণে গত মৌসুমে আম পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ বছর চাষিরা বিদেশ আম পাঠাতে পেরে আরও উৎসাহিত হচ্ছেন। ফলে দেশের অর্থনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, তাদের সঙ্গে ২০ জন সফল আম চাষি রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আম রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আম রপ্তানির জন্য উপজেলার ২০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত আম ঢাকায় বিএসটিআই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর পরে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, আম চাষ কঠিন হলেও আমে যাতে কোনো ধরনের পোকার আক্রমণ না ঘটে এজন্য এলাকার আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে আম চাষ শুরু করেছেন। এতে খরচ বাড়লেও একদিকে আমের গুণগত মান বাড়ছে অন্যদিকে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও আম কিনছেন। রাজশাহীর বাঘার আমের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে।
তিনি জানান, জেলার অন্য উপজেলার তুলনায় বাঘায় সবচেয়ে গুণগত মানের বেশি আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার আম এখন আরও উন্নত পদ্ধতিতে উৎপাদন হচ্ছে বলেই দেশের সীমাবদ্ধ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়েছে। এবারেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে অধিক পরিমাণ আম বিদেশে রপ্তানি শুরু করা হয়েছে।