শনিবর, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট : গাছ থেকে আম নামানো শুরু হয়েছে রাজশাহীর চারঘাটে। তবে গতবারের তুলনায় এবার আমের দাম দ্বিগুণেরও বেশি। বিগত সময়ে কখনই মৌসুমের শুরুর দিকে আমের দাম এ রকম আকাশছোঁয়া হয়নি।
আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব জিনিসের দাম বাড়লেও শুধু আমের দামই কম ছিল। তবে এবার ফলন কম হওয়ায় শুরু থেকেই এই ফলের বাজার চড়া।
কৃষি বিভাগ বলছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্যই দাম বেড়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় মুকুল কম এলেও ফলন খুব একটা কম হবে না।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, জাতভেদে গুটি আম ১৩ মে, গোপালভোগ ২০ মে, লক্ষ্মণভোগ বা লখনা এবং রাণীপছন্দ ২৫ মে ও হিমসাগর বা খিরসাপাত আম ২৮ মে থেকে নামানো শুরু হয়েছে।
তবে গত সপ্তাহে বাজারে ছিল কেবল গুটি জাতের আম ও সামান্য কিছু গোপালভোগ। তাই বেচাকেনাতেও ছিল ঢিলেঢালা ভাব।
চারঘাট উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। গত বছর প্রায় ৯০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। আমের বাম্পার ফলনও হয়েছিল। কিন্তু চাষিরা আমের দাম পাননি। এবার মাত্র ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। ঝড় ও অনাবৃষ্টি না থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর আমের দাম না পাওয়ায় এবার চাষিরা সংশয়ে ছিলেন।
তবে বাজারের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। শুরুতেই আমের দাম আকাশছোঁয়া। চারঘাটের বিভিন্ন আড়তে গত সপ্তাহে টক-মিষ্টি স্বাদের গুটি আম চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। গত বছর গোপালভোগের বাজার ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ শুরু হলেও এবার গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। সদ্য বাজারে আসা হিমসাগরও ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা খুশি।
উপজেলার রায়পুর গ্রামের আম ব্যবসায়ী ছদর উদ্দিন বলেন, মুকুল আসার আগেই প্রায় ১১ বিঘা জমির আমবাগান কিনেছিলাম। বাগানের ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল ছিল না। এ অবস্থায় ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এ বছর দুর্যোগ কম হওয়ায় গাছে আম টিকেছে। এখন বাজারে আমের ভালো দামও আছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজাদার হোসেন বলেন, গাছে মুকুল কম এলেও আমের ফলন খুব একটা কম হয়নি। বাজারে ভালো দামও আছে। এখন গাছ থেকে আম ঠিকমতো সংগ্রহ করে বাজারে সরবরাহ করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আজকের তানোর