রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩৭ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সভা ও সফর নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সম্মেলনের আগ মুহুর্তে এমন সফরে তার অনুসারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন যেহেতু রাব্বানী বিতর্কিত সে জন্য তিনি পদ হারাতে পারেন এমন শঙ্কায় হয় তো সফরে। আবার গত ২৫ মে তার নিজ গ্রাম প্রকাশ নগরে গভীর রাত পর্যন্ত অনুসারীদের নিয়ে সভা করেন।
সেটা নিয়েও তুমুল আলোচনা চলছে। সেই সভা থেকেও কোন এক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে অযথা কথা বলে এবং পদ টিকিয়ে রাখতে মোটা অংকের টাকা নেন মুন্ডুমালা ও তানোর পৌর মেয়রসহ ধনাঢ্য দের কাছ থেকেও বলেও গুঞ্জন বইছে । তাহলে দীর্ঘ দিনের বগল বন্ধি পদ পদবি বা রাব্বানী মামুন অধ্যায় কি শেষ হতে যাচ্ছে। নাকি অনুসারী ও পাওনা দারদের বোঝাতেই এমন গোপন মিটিং আর সফরের নাটক। হলেও হতে পারে বলেও অনেকের ধারণা।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে। পদ বগল বন্ধি রাখতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিদ্রোহীর মদদদাতা হিসেবে পরিচিত সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্বে তারা। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কোন বিতর্কিত ও নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কোন ব্যক্তিকে পদে তো দুরে থাক প্রার্থীও হতে পারবে না মর্মে কঠোর হুশিয়ারি দেন । এমন ঘোষণার পর এবং গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার পর থেকেই টনক নড়েছে সভাপতি সম্পাদকের।
রাব্বানীর এক ঘনিষ্ঠ সহচর জানান, রাজনীতিতে বারবার ভুল করলে খেসারত দিতেই হবে। গোদাগাড়ী সম্মেলনের পর গোলাম রাব্বানী একাধিক বার এমপির কাছে গিয়েছেন। নিজের পদ ধরে রাখতে তিনি এমপির কাছে ধরনাও দিচ্ছেন। অথচ সম্পাদক মামুন কে সাথে নিচ্ছে না। এসব কারনে এবং রাব্বানীর সফর নিয়ে সম্পাদকের সাথে চলছে মনোমালিন্য।
মুন্ডুমালা বাজারের রাব্বানী সহচর বেশ কিছু সিনিয়র ব্যবসায়ীরা জানান, কেন রাব্বানী পৌরসভা নির্বাচন না করে এমপির স্বপ্ন দেখেন। তিনি নাকি শত বছরের রাজনীতি পরিবারের সন্তান। তিনি কিভাবে স্বপ্ন দেখেন এমপি হওয়ার। যেখানে ফারুক চৌধুরী আছেন। যার কারনে আজ আওয়ামী লীগ এদুই উপজেলাসহ রাজশাহীর অঞ্চলে নতুন দিগন্তে । তাকে রাজনীতির বটগাছ বলা যায়। আর রাব্বানী কি ভাবে স্বপ্ন দেখেন। তার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল মুন্ডুমালা পৌরসভার ভোট না করা। আমরাও চাই রাব্বানী মামুন দূর হোক। তিনি কেন সফরে, তিনি কি এমন পারসন যে তাকে যেতে হবে। নিজের পদটাই ধরে রাখুক। আর কত ভাউতা বাজি। নাকি পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এসব ভুলভাল আর কেউ বুঝবে না। এভাবে পাওনা দারদের কতদিন থামিয়ে রাখবে। আমাদের মনে হয় সম্মেলনের পর পাওনা দাররা বাড়ি ঘেরাও করবে। সময় থাকতে এসব মিটিয়ে দেওয়ার আহবান জানান অনেকে।
সম্পাদক মামুনের এক সহচর জানান, এমপির সাথে মামুনের কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। রাব্বানী বিরোধিতা করলেও মামুন এমপির সাথেই ছিলেন। কিন্তু উপজেলা ভোটে রাব্বানীর ভুলভাল বুঝিয়ে মামুনকে তার দিকে টেনে নেয়। শুরু হয় এমপির সাথে দ্বন্দ্ব। হয়ে যান বিদ্রোহী দের মদদদাতা। এখন রাব্বানী পদ ধরে রাখতে এমপির কাছে মামুন ছাড়াই ধরনা দিচ্ছেন। তাহলে মামুন কে আরো আগে বোঝা উচিৎ ছিল রাব্বানী নিজের স্বার্থে রাজনীতি করেন। দু’জনকে পদ থেকে সরিয়ে নতুনদের আনতে আহবান জানান অনেকে। তাহলে বুঝবে কত ধানে কত চাল। রাব্বানী কি এমন নেতা যে তাকে সফরে যেতে হবে। সামনে সম্মেলন আর উনি সফরে। এসব সবাই বুঝে গেছে।
সরকারি সফরে ভারতে আছেন রাব্বানী আগামী পহেলা জুন নাকি দেশে ফিরবেন। সফরের জন্যও নাকি তিনি তুলেছেন লাখ লাখ টাকা বলে মাঠে গুঞ্জন বইছে। আজকের তানোর