রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৪৪ pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইন লংঘনের অভিযোগে পারস্য উপসাগর থেকে গ্রিসের দুটি তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান। গ্রিস নিজেদের পানিসীমা থেকে ইরানি একটি তেল ট্যাংকার আটক করার কয়েকদিনের মাথায় পাল্টা এই পদক্ষেপ নিল দেশটি।
ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরের পানিসীমায় বর্তমানে গ্রিসের ১৭টি জাহাজ রয়েছে। দেশটি যদি ইরানের ব্যাপারে বর্তমান নীতি অব্যাহত রাখে তাহলে তেহরান গ্রিসের আরও জাহাজ আটক করবে না সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-আইআরজিসি শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বাহিনীর নৌশাখা শুক্রবার আইন লংঘনের ‘অপরাধে’ পারস্য উপসাগর থেকে গ্রিসের দুটি তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে।
তাসনিম নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রিসের জাহাজ দুটি থেকে আটক করা নয় নাগরিককে আইআরজিসি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে ইরানের কোনো কর্মকর্তা এখনও কোনো মন্তব্য করেন নি।
জাহাজ আটক সম্পর্কে ইরানের রাজনৈতিক ভাষ্যকার সাইয়্যেদ মোহাম্মদ মারান্দি প্রেস টিভিকে বলেছেন, গ্রিসের তেলবাহী জাহাজ আটকের মধ্যদিয়ে তেহরান ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদেরকে এই বার্তা দিতে চেয়েছে যে, ইরানের তেল বাণিজ্য যেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
এর আগে শুক্রবার ইরানের বার্তা সংস্থা নূর নিউজ জানিয়েছিল, গ্রিসের হাতে ইরানি তেল ট্যাংকার আটকের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ নেবে তেহরান। অবশ্য কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সে সম্পর্কে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বার্তা সংস্থাটি কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
গ্রিক সরকার ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করার পর তেহরানে নিযুক্ত গ্রিসের রাষ্ট্রদূতকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। ইরানের পক্ষ থেকে ট্যাংকারটিকে নির্বিঘ্নে ছেড়ে দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গ্রিস সরকার ইরানি তেল ট্যাংকারটির তেল অন্য একটি ট্যাংকারে স্থানান্তর করে তা আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করেছে।
শুক্রবার তেহরানে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতকেও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় গ্রিক উপকূল থেকে ইরানি তেল চুরি করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়। তেহরানে মার্কিন দূতাবাস না থাকায় সুইজারল্যান্ড ইরানে মার্কিন স্বার্থ দেখভাল করে।
এর আগে বুধবার ইরানের পোর্টস অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে বলেছিল, গ্রিসের পানিসীমায় ইরানি তেল আটক করে তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের ঘটনাটি ছিল ‘সম্পূর্ণ জলদস্যুতা’ এবং এতে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লংঘিত হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর