সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৫১ pm
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে খাস জায়গা দখলে নিতে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কলমা ইউপির চকরতিরাম জামাই পুকুর পাড়ে ঘটে দখল ও মারপিটের ঘটনাটি। এঘটনায় ভূমিহীন ও দখল দারদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দখল নিয়ে আবারও ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলেও আশঙ্কা করছেন স্হানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চকরতিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে পাকা রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় চোরখৈর গ্রামে এবং চকরতিরাম গ্রামের পশ্চিমে রয়েছে জামাই কুড়ি বা জামাই পুকুর। সেই পুকুরের পাড়ের চারদিকে ওই প্রভাবশালী ও কিছু ভূমিহীনরা জায়গা নিজের মত করে দখলে নিয়েছেন। পুকুরটি বরেন্দ্র থেকে খনন করা হয়েছিল। চারদিকে বাঁশ দড়ি দিয়ে পুরো পাড় দখল করেছেন। এমনকি যাদের পাকা দালান বাড়ি আছে তারাও টাকার বিনিময়ে দখল করছেন। জায়গা দখলে নিয়ে প্রভাবশালী মুনসুর তার ভাতিজা আশু, শাহজাহান, আনারুল এবং এমদাদুল বাঁশ খুটি পুতে দড়ি দিয়ে দখল করেছেন।
সেখানে অসহায় অসুস্থ জামাল উদ্দিন জায়গা দখল করে বাড়ি করছেন। তিনি জানান, আমার হার্টে রিং পরা আছে। চিকিৎসা কাজে আমার ভিটে বাড়ি বিক্রি করে কিছুই নেই। সবার কাছে ধরনা দেওয়ার পর একটা খাস জায়গা পেয়ে ঘর করছি। আমার দেখাদেখি অনেকেই করা শুরু করেছেন। ঘর বাড়ি থাকার পরও আশু দখলে নিয়েছেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার বাড়ি থাকার পরও এখানে কে দখল করতে বলেছে তিনি জানান, আমার ছোট বাড়ি এজন্য। আনারুল নামের আরেক জন বাড়ি নির্মাণ করছিলেন তাকেও বলা হয় কে দখল করতে বলেছে তিনি জানান আমার মায়ের জন্য সামান্য জায়গা নিয়েছি গোলাপের মাধ্যমে।
বেশকিছু ভূমিহীনরা জানান, আমাদের বাড়ি ঘর তেমন নেই। এজন্য গোলাপ আমাদেরকে এখানে বাড়ি করতে বলেছেন। সে অনুযায়ী বাড়ি করছি। কিন্তু যাদের পাকা দালান বাড়ি আছে তারাও তো দখল করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, জায়গা সরকারের আর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোলাপ প্রভাবশালীদেরও দখল করার অনুমতি দিয়েছেন। জায়গা দখল নিয়ে গত বুধবার মারপিটও হয়। গোলাপ পুকুর চাষ করেন। এজন্য তিনি দখলের অনুমতি দিয়েছেন। অথচ বরেন্দ্র থেকে পুকুর খনন করে চারদিকে উঁচু করে মাটি ছিল। সেই মাটি ছোট ছোট গাছপালা ঝোপঝাড় কেটে উৎসব করে দখল করছেন।
জায়গা সরকারের হলেও যেন মালিক গোলাপ। তিনি টাকা নিয়ে অসহায় লোকজনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছেন। আমরা তহসিলদারকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোন গুরুত্ব দেন নি।
উপজেলার কলমা ভুমি অফিসের সহকারী তহসিলদার মিজানুর রহমানের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনারা আমাকে লিখিত অভিযোগ দেন ব্যবস্হা নিব। আমি কেন অভিযোগ দিব সরকারি জায়গা দখল করছে রক্ষা করার দায়িত্ব কার প্রশ্ন করা হলে উত্তরে জানান দেখছি, ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে এড়িয়ে যান মিজান। আজকের তানোর