সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : খাস জমি ভেবে এক এক করে ১০ বছরে তীলে তীলে ২৮ টি পরিবার গড়ে তুলেছিলেন ঘর বাড়ি। ছোট্র স্থানটিকে একটি ছোট্র পরিচ্ছন্ন মহল্লা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি মাথা গোজার ঠাই হয়েছিলো ২৮ টি পরিবারের প্রায শতাধীক মানুষের।
সেই ঘর বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়া ২৮টি পরিবার এখন গৃহহীন ও আশ্রয়হীন হয়ে চরম হতাশা আর অনিশ্চিত ভবিৎতের মধ্যে আশ্রিত হয়ে কেউ ঠাই নিয়েছেন আত্নীয়ের বাড়িতে কেউ স্কুলের বারান্দায় কেউ আবার গ্রামের মানুষের বাড়ির বারান্দায়।
আর বার বারই ছুটে আসছেন ১০ বছর ধরে বসবাস করা সেই গুড়িয়ে দেয়া বসতবাড়ির দিকে আর কান্নায় বেঙ্গে পড়ছেন তারা। তাদের বুক ফাটা বোবা কান্না আর আর্তনাথ মাথা গোজার ঠাইয়ের জন্য।
বলছিলাম রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বেলপুকুর গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও মুসলমানসহ ২৮ পরিবারের কথা।
গত ১৮ জুন আদালতের একটি আদেশে তাদের গৃহহীন করে উচ্ছেদ করা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে গৃহহারা হয়ে গত চারদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শি ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কৃষ্ণপুর মৌজার- জেল নম্বর ৯৮, আরএস খতিয়ান নম্বর ১২৯ ও আরএস ১২৩৪ নম্বর দাগে প্রায় এক একর ৬৪ শতক ধানী জমি রয়েছে।
২০১২ সালের প্রকাশিত গেজেটে নিন্ম তফসিলভুক্ত সম্পত্তি খাস (ভিপি) বলে গেজেট প্রকাশ হয়।নীতিমালা অনুযায়ী খাস সম্পত্তি রেজিস্ট্রি বা বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
প্রকাশিত গেজেটের সুত্র ধরেই বিভিন্ন এলাকার ৩০টি ভূমিহীন পরিবার সেখানে বসতি গড়ে তুলে প্রায় ১০ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন।
ভুক্তভোগী গৃহহীনরা অভিযোগ বলেন, উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের পুত্র দেলোয়ার হোসেন আদালতে উচ্ছেদ মামলা করে একতরফা রায় নিয়েছেন।
তবে, ভূমিহীনরা বিষয়টি জানার পর ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। যা এখানো চলমান আছে। অসহায় হয়ে পড়া এই পরিবারের পাশে এখন কেউ নেই। আজকের তানোর