রবিবর, ২২ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:২২ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু ভারতীয় সঞ্চালন লাইনে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনছে সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ৮ দফা দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন নাচোলে গুজব প্রতিরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠতি অনলাইনে সরব, মাঠে নীরব আ.লীগ তানোর প্রেসক্লাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, প্রতিক বরাদ্দ ঢালাও মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : আসিফ নজরুল মোহনপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত মসজিদের বিশেষ আদব ও শিষ্টাচার : হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী মোহনপুরে আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাম গ্রেপ্তার, মিষ্টি বিতরণ দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন
নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ডুবিয়ে আসছে ময়না-প্রদীপ

নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ডুবিয়ে আসছে ময়না-প্রদীপ

আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : জাতীয় ও স্হানীয় পর্যায়ের সকল ধরনের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং রাজশাহী-১ (তানোর গোদাগাড়ী)  আসনের সাংসদ ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারিরা হতাশায় ভুগছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কারণ গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন তার জলন্ত প্রমান।

যারা নৌকা এবং এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তারা পদ পদবি থেকে ছিটকে পড়েছেন। এজন্য তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক বিদ্রোহীদের মদদ দাতা হিসেবে ইতিপূর্বেই চিহ্নিত। তারা চরম আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছেন। কারণ তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৬ জুন। ফলে নিজের পথ ধরে রাখতে রাতের আধারে ছুটছেন এমপির দোয়ারে দোয়ারে। ঘুরছেন বিভিন্ন নেতার দ্বারে বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। যাকে পদ আগলে রাখতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কথাই আছে মরার সময় নাকি কোন ঔষধ কাজ করে না। তাদের অবস্থাও নাকি এমন হতে যাচ্ছে বলে তৃনমুলের দৃঢ় বিশ্বাস।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১৮ মে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে নতুন মুখ বর্ষিয়ান রাজনীতি বিদ গোদাগাড়ী পৌর মেয়র অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস নির্বাচিত হয়েছেন । আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রশিদ। অথচ সম্মেলনের আগে উপজেলার নেতৃত্ব নিয়ে এমপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা বলি উড়ানো হয়েছিল । কিন্তু সবাইকে অবাক করে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিরা যখন নির্বাচিত হলেন- তখন মুখ মলিন হয়ে পড়ল ষড়যন্ত্রকারীদের। তারাও সম্মেলনকে বিতর্কিত করতে নানা ভাবে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে ব্যর্থ হয়ে হতাশা গ্রাস করেছে তাদেরকে।

আট বছরের অপেক্ষা। একগুঁয়েমি হয়ে পড়েছে নেতৃত্ব। তৃনমূল নেতাকর্মীরাও আস্হা হারিয়ে ফেলেছেন। একটানা আট বছরের বেশি সময় পদে থেকে কখনো নিজের ভাইকে বিদ্রোহী, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান। আবার কখনো মুল ধারার বিপরীতে। কাউন্সিলের ঘোষণা আসার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মাঝে  উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে । কারণ ঘুনে ধরা কমিটির শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের কাছে অগ্রহন যোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকবার দিন তারিখ ধার্য হলেও রহস্যজনক কারণে সম্মেলন স্থগিত হয়ে পড়ে।

বারবার হতাশ হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। আবার সম্মেলন হওয়ার আগেই স্হানীয় সাংসদকে বিতর্কিত করতে নানা ধরনের প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে নিজেরাই এখন অন্ধকারে দেখা শুরু করেছেন । যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন অমবশ্যা দেখছেন তারা। অথচ সকল ধরনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন সিনিয়র নেতারা । আর একাজ করছেন দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলে অনেকে জানান । এখানে কারো কিছুই করার নাই। আর ষড়যন্ত্রকারিরা দিবাস্বপ্নের মত দলের ভিতরে ভাঙ্গনে মরিয়া। সাংসদের বিরোধিতা করতে গিয়ে আজ নিজেরাই অস্তিত্ব সঙ্কটে। তৃনমূলের মুলধারার বিজয় হয়েছে গোদাগাড়ীতে এবং তানোরেও এমনটাই হবে বলে মনে করছেন রাজশাহীর-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রবীন ত্যাগী নেতারা।

দলীয়  সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জুন। সম্মেলন ঘিরে চলছে জোর আলোচনা। কপাল পুড়তে যাচ্ছে বিদ্রোহীদের মদদ দাতাদের। কারণ দলের সভাপতি সাব জানিয়ে দিয়েছেন যারা জাতীয় ও স্হানীয় নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন তারা কোন পদে আসতে পারবে না। এই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান তানোর আ’লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং তাদের অনুসারীরা ।

তারা প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চরম বিতর্কে। সুতরাং নিশ্চিত তাদের পদ হারাচ্ছে বলে মনে করেন তৃনমুল থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতারা। শুধু তারাই নয় রয়েছে তাদের অনুসারীরাও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু সিনিয়র নেতারা জানান, দলের মুলধারার সাথে বেঈমানী করলে তার ফল ভোগ করতেই হবে। রাব্বানী মামুনের পদে থাকার কোন যোগ্যতা নাই। কারণ তারা সব সময় নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করাতে গিয়ে নিজেরাই  ধরাশায়ী হয়েছেন। তাহলে তারা কিভাবে পদে থাকবেন বা আশা করেন। তাদের উচিৎ সম্মানের সহিত নিজ ইচ্ছায় পদ থেকে  বিদায় নেয়া বা সরে দাঁড়ানো।

আর এক নেতা জানান, তারা মনে করেছিল গোদাগাড়ী সম্মেলনে এমপি ও নৌকা রিরোধীরা পদ পদবি পাবে। কিন্তু এমন কমিটি হল কারো কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পর্যন্ত নাই। এটাই ফারুক চৌধুরী, এটাই মুল ধারা। এমপির বিরুদ্ধে কত না মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এমনকি মাদকের সম্রাট রাজাকার পুত্রসহ নানান কিছু। ওই সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের  কাছে এমপি জোর গলায় বলেছিলেন চক্রান্ত কারীদের সাথে আপোষ করে রাজনীতি করতে হবে আমার দ্বারা সেটা সম্ভব নয়। তিনি অনুরোধ করে বলেছিলেন, আমাকে এবিষয়ে না বলাই ভালো। ওই অনুরোধের ছবি দিয়ে কত না মিথ্যা বানোয়াট গল্প রচনা করেছিল। কিন্তু আজ কে কার কাছে হাত জোড় করেছে তা সবাই জানছে, বুঝজে ও দেখছে। ওস্তাদের মার শেষ রাতে।

উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান জানান, বর্তমান সভাপতি রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক মামুনরা প্রতিটি জায়গায় দলের মধ্যে গ্রুপিং লবিংয়ের মুল হোতা। দলে বিভক্তের মুলেই তারা। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় ও স্হানীয় প্রতিটি নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তাদেরকে আগেই সম্মানের সহিত পদ থেকে বিদায় নেওয়া উচিত ছিল।  তারা আবার পদে আসবেন কিভাবে এমন স্বপ্ন দেখেন।

উপজেলার বাধাঁইড় ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জানান, গত ইউপি ভোটে রাব্বানী তার ভাইকে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নামিয়েছিল। শুধু মাত্র নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে এবং বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে দলের সাথে এমন বেঈমানী করেছেন। অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এরআগে চলতি বছরের গত ২১ মার্চ সম্মেলনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কোন কারণে স্হগিত হয়ে যাওয়ায় তাদের অনুসারীরা মেতে উঠে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শুরু করেন। পুনরায় দায়িত্বে থাকায় ধন্যবাদ। মানে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে সম্মেলন হলে কোন পদ পদবি তাদের থাকবে না। তৃণমূলের দাবি, প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মাঠে সব সময় ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তাদের অনুসারী নৌকা পেলেও ময়না মাঠে কাজ করেছেন। আর রাব্বানী মামুনের অনুসারীরা নৌকা না পেলেই বিদ্রোহ। ময়না যুবলীগের সভাপতি হয়েও আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনকেও পরিচালনা করে আসছেন। সময়ের দাবি তাকেই করা হোক তানোর আ’লীগের সভাপতি। কার। তার নেতৃত্বে আওয়ামী, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠন পরিচালনা বা নেতৃত্ব দেওয়ার সকল ধরনের যোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি ।

আগামীতে তানোর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসছেন তরুণ উদীয়মান তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার।

তবে, নাম শোনা গেলেও সম্মেলন ছাড়া এসব বিষয়ে কথা বলতে নারাজ সবাই। কারণ সম্মেলনের আগ পর্যন্ত  কি হবে বলা কঠিন। এজন্য পদ-পদবি পেতে দৌড়ঝাঁপ করলেও নিরবে সবাই। আর সভাপতি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নাম ব্যাপক ভাবে আসছে। কিন্তু ১৬ জুনের অপেক্ষায় সবাই। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.