সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৪ pm
ইমরান হোসাইন :
রাজশাহীর তানোরে বিআরডিবি (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড) অফিসের এক মাঠ সংগঠকের বিরুদ্ধে কর্মচারী বিধিমালার পরিপন্থী শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমানিত হয়েছে। এজন্য তাকে শাস্তিযোগ্য অপসারণ চেয়ে কমিটির ৫ সদস্যের প্রতিবেদন গত ১২ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ডিডি’র নিকট দাখিল করা হয়। কিন্তু এমন প্রতিবেদন প্রাপ্তির গেলো ১ মাসেও রহস্যজনক কারণে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি ডিডি। ফলে উপজেলা কেন্দ্রীয় বিত্তহীন সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
অভিযোগ ও প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা গেছে, উপজেলার বিআরডিবি অফিসে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অনুমোদন পাই। যার রেজি: নম্বর- ১৪। পরে ২০১১ সালের ২৯ জুন সংশোধিত করা হয়। ওই ভবনের দোতলায় ইউবিসিসিএ লি: (উপজেলা কেন্দ্রীয় বিত্তহীন সমবায় সমিতি লিমিটেড) নামে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প চালু করা হয়। ওই প্রকল্পের মাঠ সংগঠক শামসুল আলম সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে অত্র অফিসে ১২ বছর ধরে কর্মরত রয়েছে। একটানা এতো বছর ধরে তিনি ওই অফিসে অবস্থান করায় নাগামহীন ভাবে বেড়েছে তার অনিয়ম-দূর্নীতি। এছাড়াও তিনি প্রাথমিক সমিতির সাপ্তাহিক সভায় নিশা জাতীয় দ্রব্য পান করে সদস্যদের সঙ্গে বিরুপ আচরণ করে নয়-ছয় হিসাব দেন বলে জানান সমিতির নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।
অপরদিকে, সমিতির সদস্যদেরকে জিম্মি করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে স্বাক্ষরিত ফাঁকা ব্যাংক চেক কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে নিজের কাছে রেখে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন তিনি। এমন অভিযোগ দেয়া হয় সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি, প্রকল্প কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর। এমনই লিখিত অভিযোগ করেন তানোর ইউবিসিসিএলি: এর আওতাধীন চোরখৈর পূর্বপাড়া এমবিএসএসলি: সমিতির ম্যানেজার মোসা. নুরজাহান বেগম ছাড়াও আরও অনেকে। মাঠ সংগঠক শামসুল আলমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তদন্তের জন্য গত ৩ এপ্রিল ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা সকল অভিযোগ প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে সত্যতা পান। এহেন প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি স্বাক্ষরিত প্রকল্প কর্মকর্তা আঞ্জুয়ারা খাতুন প্রতিবেদক গত ১২ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডিডি মিজানুর রহমানের নিকট দাখিল করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, মাঠ সংগঠক আয়নাল হক, হিসাব রক্ষক আরিফুল ইসলাম, অত্র সমিতির নির্বাচিত সভাপতি আব্দুস সালাম ও প্রকল্প কর্মকর্তা আঞ্জুয়ারা খাতুন।
এবিষয়ে মোবাইলে মাঠ সংগঠক শামসুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমার বিরুদ্ধে এক পেশি ভাবে তৈরি করা হয়েছে। আমার ক্ষমতায় এখানে ১২ বছর ধরে আমি কর্মরত রয়েছি। যদি ডিডি মহোদয় আমাকে বদলি করেন সেচ্ছায় এখান থেকে যেতে হবে বলে দাম্ভিকতা দেখিয়ে মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করেন তিনি।
এব্যাপারে রাজশাহী পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক (ডিডি) মিজানুর রহমান বলেন, মাঠ সংগঠক শামসুল আলমের বিরুদ্ধে তানোর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের আলোকে অল্প কিছু দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। আজকের তানোর