রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৩ am
বিনোদন ডেস্ক : দু’বেলা খাবার জুটত না ঠিকমতো। আধপেটা খেয়ে যখন ঘুমোতে যেত ছোট্ট মেয়েটি, তখন ঘুমও আসত না খিদের জ্বালায়। এক দিন অভাব-অনটনের জেরে স্কুলের পড়াও বন্ধ হয়ে গেল। বাবা অটোচালক, ক’টাকাই বা রোজগার!
ভারতের উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে জন্মগ্রহণ করেন মান্য ওমপ্রকাশ। তার বাবা একজন অটোরিকশা চালক। শুধু এতটুকুই নয় নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মান্য জানিয়েছেন আরো অনেক কিছু। তিনি লেখেন অসংখ্য রাত খাবার ও ঘুম ছাড়া কাটিয়েছেন তিনি। কাজের প্রয়োজনে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়েছে তাকে। জীবনকে আরো কিছুদূর টেনে নিতে বিকালে ধুয়েছেন থালাবাসন, রাতে করেছেন কল সেন্টারে কাজ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে মান্যা বলেন ‘আমার রক্ত, ঘাম এবং চোখের জলই আমাকে স্বপ্ন দেখতে সাহস জুগিয়েছে’। অটো চালকের মেয়ে হওয়ার দরুন স্কুলে বেশিদিন পড়ার সুযোগ হয়নি। ১৪ বছর বয়স থেকেই কাজ শুরু করি।’
সেই কিশোরী দিনে পড়াশোনা, সন্ধ্যায় বাসন মেজে উপার্জন করে এবং রাতে কল সেন্টারে কাজ করতেন। এভাবে পড়াশোনা শেষ করেন। সামান্য কিছু টাকা বাঁচাতে গাড়িতে না উঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে যাতায়াত করতেন। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, তাঁর পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার জন্য মা-র সামান্য কিছু গয়না বন্ধক রাখেন। এ ভাবেই তাঁর বড় হওয়া। আর তার পর এক দিন মিস ইন্ডিয়ার মঞ্চে পৌঁছে রূপকথা।আজকের তানোর