রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৫২ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : আট বছর পর আজ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলন ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে কমিটিতে শীর্ষ পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন হাইব্রিডরাই। শেষ পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বড় পদগুলোতে হাইব্রিডদের দেখা যেতে পারে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা আশঙ্কা করছেন।
জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বদিউজ্জামান বদি সভাপতি এবং আব্দুর রশিদ সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। বছর চারেক আগে স্থানীয় সংসদ-সদস্য (রাজশাহী-১) ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে তীব্র মতবিরোধের জেরে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় সভাপতি বদিকে। সেই থেকে বদি দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। বদি সমর্থকরা ছিটকে পড়েন মূলধারা থেকে। সম্মেলনে এবার প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইতে বদিউজ্জামান বদি বলেন, না প্রার্থী হচ্ছি না। সম্প্রতি বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কমিটিগুলো ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি হয়েছে। একজনের ইচ্ছায় (সংসদ-সদস্য) অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাইব্রিডরাই এসেছেন। সম্মেলন হলেও কোনো কাউন্সিলর নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সভাপতি পদে এবার আসতে পারেন কাকনহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মাস্টার। তিনি স্থানীয় এমপির অতি আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত। মজিদ মাস্টার গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১১ সালে এমপি ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে আওয়ামী লীগে আসেন। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মজিদ মাস্টারকে সভাপতি করার বিপক্ষে হলেও এমপির একান্ত ইচ্ছাতেই মজিদ সভাপতি পদটি পেতে পারেন বলে দলীয় সূত্রগুলো জানান।
অন্য দিকে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আব্দুর রশিদই থাকছেন বলে দলের নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে, কিছু দিন আগে এমপির সঙ্গে রশিদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তবে উপজেলা সম্মেলন সামনে রেখে রশিদ সেই সম্পর্ক মেরামত করে ফেলেছেন।
গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজুর নামটি সামনে এসেছে এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে। রাজু বর্তমানে উপজেলা কমিটির তথ্য গবেষণা সম্পাদক। দলীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজুকে নিয়ে রয়েছে নানান বিতর্ক। তিনি আগে বিএনপি-জামায়াত জোটের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কলেজ অধ্যক্ষ হওয়ার পর উপজেলা কমিটিতে পদ পান। তার বাড়ি উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের বিড়ইল গ্রামে।
তার বাবা মৃত ইয়াকুব আলীও জামায়াতে ইসলামের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। বুধবারের সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অনেকের নাম এসেছে সামনে। তাদের মধ্যে সভাপতি হিসাবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আকতারুজ্জামান ছাড়াও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাসের নাম নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম মুক্তি, গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নাম এসেছে সামনে।
গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতা নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত নিয়েই নেতা নির্বাচন করা হবে। সেটা ভোটেও হতে পারে আবার মৌখিক সমর্থনেও হতে পারে। একতরফা কারও নাম ঘোষণা করা হবে না। আজকের তানোর