সমবার, ২৩ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২৭ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু ভারতীয় সঞ্চালন লাইনে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনছে সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ৮ দফা দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন নাচোলে গুজব প্রতিরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠতি অনলাইনে সরব, মাঠে নীরব আ.লীগ তানোর প্রেসক্লাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, প্রতিক বরাদ্দ ঢালাও মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : আসিফ নজরুল মোহনপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত মসজিদের বিশেষ আদব ও শিষ্টাচার : হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী মোহনপুরে আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাম গ্রেপ্তার, মিষ্টি বিতরণ দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন
চড়ক উৎসব দেখতে পদ্মাপাড়ে মানুষের ঢল

চড়ক উৎসব দেখতে পদ্মাপাড়ে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরের পদ্মা পাড়ে এবারই প্রথম চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তাইতো পূজা দেখতে নেমেছে হাজার হাজার মানুষের ঢল। সোমবার রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি এলাকার পদ্মা সার্বজনীন শিব মন্দিরে চলছে চড়ক পূজার এই উৎসব।

কথায় আছে, বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই কথাটা যে কতখানি সত্যি তা আমরা সকলেই জানি। উৎসব শুরু হয় পয়লা বৈশাখ দিয়ে, আর শেষ হয় চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে। প্রতিটি উৎসবই কিছু না কিছু মাঙ্গলিক বার্তা বহন করে। বাঙালীর এই সমস্ত উৎসবের মধ্যে চৈত্র সংক্রান্তি ও চড়কের পুজো বেশ বিখ্যাত।

এটি মূলত বাঙালী হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষ দিন বা চৈত্র সংক্রান্তিতে এই উৎসব পালিত হয়। চড়কের ঠিক আগের দিন নীলষষ্ঠী পালিত হয়। আর, নববর্ষের প্রথম দু’তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসবও চলে। এই পূজার বিভিন্ন নাম রয়েছে নীল পূজা, গম্ভীরা পূজা, শিবের গাজন ইত্যাদি। এবছর ১৪ এপ্রিল পড়েছে চড়ক পূজা। কিন্তু জানেন কি এই চড়ক পূজার উদ্ভব কীভাবে?

চড়ক কীভাবে এসেছে, তা নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। এর সঠিক ইতিহাস এখনও তেমন পরিষ্কার নয়। তবে প্রচলিত রয়েছে, রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর ১৪৮৫ সালে এই পুজোর প্রচলন করেন। তবে রাজ পরিবারের লোকজন এই পুজো আরম্ভ করলেও চড়ক পুজো কখনও রাজবাড়ির পুজো ছিল না, বরং এটি ছিল হিন্দু সমাজের লোকসংস্কৃতি।

তবে সব পুজোয় ব্রাহ্মণ প্রয়োজন হলেও, এই পুজোর ক্ষেত্রে কিন্তু নিয়ম একেবারেই আলাদা। শোনা যায়, চড়ক পুজোর সন্ন্যাসীরা প্রত্যেকেই ছিলেন হিন্দু ধর্মের তথাকথিত নীচু সম্প্রদায়ের লোক। তাই এই পূজায় এখনও কোনও ব্রাহ্মণের প্রয়োজন পড়ে না।

চড়ক পূজার আগের দিন চড়ক গাছকে ভাল করে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়। তারপর জলভরা একটি পাত্রে শিবলিঙ্গ রাখা হয়, যা ‘বুড়োশিব’ নামে পরিচিত। এই পূজো করেন পতিত ব্রাহ্মণরা। চড়কগাছে সন্ন্যাসীদের চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুতবেগে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তার পিঠে, হাতে, পায়ে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গে জ্বলন্ত বাণ শলাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার রীতিও রয়েছে।

এছাড়াও, কুমিরের পুজো, জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর হাঁটা, গায়ে ধারালো জিনিস ফোটানো, ধারালো কিছুর ওপর লাফানো, শিবের বিয়ে, অগ্নিনৃত্য, ইত্যাদি এই পুজোর বিশেষ অঙ্গ হিসেবে মনে করা হয়।

চড়ক পুজোর উৎসবে যারা অংশ নেয়, তারা বিভিন্ন রকমের দৈহিক যন্ত্রণা সহ্য করে মনোরঞ্জন করে, যা ধর্মের অঙ্গ বলে বিশ্বাস করা হয়। এই সব পুজোর মূলে রয়েছে ভূতপ্রেত ও পুনর্জন্মবাদের ওপর বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, নদীয়া, তারকেশ্বর, বাঁকুড়া, হুগলী-এর বেশ কয়েকটি গ্রামে এই উৎসব পালিত হয়।

এছাড়াও আরও অনেক জায়গায় চড়ক পূজা প্রচলন রয়েছে। মূলত গ্রামাঞ্চলে এই উৎসব উদযাপন করা হয়। চড়কের জন্য বিশেষ মেলাও বসে।

সাধারণত চৈত্রের শেষ দিনে ও বৈশাখের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসব চলে। এটি চৈত্র মাসে পালিত হিন্দু দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অঙ্গ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে যা চড়ক সংক্রান্তির মেলা নামে অভিহিত। কিন্তু রাজশাহী শহরে এই উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে যেনো গ্রাম-বাংলার চিরাচরিত সেই ঐতিহ্য ফুটে ওঠেছে। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.