সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর পৌরসভার কাশিম বাজার এলাকায় ওএমএসের (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ১৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। গেলো ১৩ মে দুপুরে এসব ওএমএস চাল জব্দ করেন ইউএনও। আজ (১৪ মে) বিকেলে ইউএনও’র ভ্রাম্যমান আদালতে ডিলার ও বাড়িওয়ালার ১০ হাজার করে উভয়ের মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিম বাজার এলাকায় ওএমএস চাল বিতরণে ডিলার নিযুক্ত হন বুরুজ মহল্লার বাসিন্দা আলফাজ উদ্দিন। তিনি ডিলার নিযুক্ত হয়ে গেলো বৃহস্পতিবার উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ অফিস থেকে ৪০ বস্তা বা দুই হাজার কেজি চালের ডিও লেটার নেন। পরে তানোর সদরের খাদ্যগুদাম থেকে বরাদ্দের সব চাল উত্তোলন করেন তিনি। কিন্তু ওইদিন নাম মাত্র কয়েক বস্তা বিতরণ করে তার আস্থাভাজন ব্যক্তি বুরুজ মহল্লার বাসিন্দা লহর শাহর পুত্র শহিদের বাড়িতে ১৬ বস্তা চাল লুকিয়ে রাখেন।
পরে কৌশলে ওএমএস চালের বস্তা পরিবর্তন করে স্বাভাবিক বস্তায় বরাদ্দের এসব চাল রাখা হয়। এহেন খবর শুক্রবার ছুটির দিন সকালে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে ইউএনও অবহিত হন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওএমএস ডিলার আলফাজকে ডেকে নিয়ে শহিদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও। এসময় তার বাড়িতে ১৬ বস্তা ওএমএস চাল জব্দ করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য গোপনে লোক নিয়োগ করেন ইউএনও। তদন্তে ডিলারের কারচুপির বিষয়টি পেরিয়ে আসে। এরপর শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ডিলার আলফাজ উদ্দিনের ১০ হাজার ও তার আস্থাভাজন ব্যক্তি শহিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে জব্দকৃত চাল ছেড়ে দেয়া হয়।
এবিষয়ে ডিলার আলফাজ উদ্দিন ও শহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ওএমএস চাল গোদাউন থেকে উত্তোলন করে বাড়িতে রাখার দায়ে তাদের উভয়ের ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হয় বলে স্বীকার করেন আলফাজ উদ্দিন ও শহিদ।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে অবগত হয়ে ঘটনাস্থলে ১৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব ওএমএস চালের মতো। কিন্তু বস্তা পরিবর্তন করে স্বাভাবিক বস্তায় এসব চাল রাখা হয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য গোপনে লোক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ডিলার ভুল শিকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উভয়ের ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও। আজকের তানোর