বুধবা, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫১ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ওপারের কলকাতায় তারকাদের ‘মধ্যমণি’ শাকিব জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার! লেখক, রাজু আহমেদ ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএল প্রাইভেটকার চাপায় চীনে ৩৫ জন পথচারী নিহত নগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫ বাগমারায় দরিদ্র নারীদের সঞ্চয়ের টাকা উদ্ধার করলেন ইউএনও নগরীতে আরডিএ’র বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তার মামলা মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা দিতে এসে কারাগারে ছাত্রলীগ কর্মী তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবিতে ব্যানার নিয়ে রাস্তায় মহিলা নেত্রী মৌগাছি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন সরকার ১০-১২ বছর ক্ষমতায় থাকতে চাইছে? ইউনূসকে বিএনপির টার্গেট বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি সরানো ঠিক হয়নি : রিজভী আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের সিরিজ হার, ছক্কায় জয় দুর্গাপুরে ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দুইজন আটক রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগ ‘ভয়ংকর রূপে’ ফেরার বার্তা, তদন্ত কমিটি তানোরে শিক্ষকদের একত্রকরণে কার্যকর কমিটি গঠন ও মতবিনিময় নগরীতে বিস্ফোরক মামলার ১৪ আসামি গ্রেপ্তার তানোরে ব্র্যাক সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি-বারিন্দ প্রকল্পের আয়োজনে কর্মশালা রাজশাহীতে কৃষকবান্ধব সেচ নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে মানববন্ধন বাগমারায় আ.লীগ নেতার বিল দখল, জলাবদ্ধতায় জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত
দেনা বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক : সিপিডি

দেনা বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক : সিপিডি

ডেস্ক রির্পোট : বাংলাদেশে এ মুহূর্তে মাথাপিছু দায়-দেনা অর্থাৎ ঋণের পরিমাণ ৪৩২ ডলার বা ৩৭ হাজার ৫৮৪ টাকা (এক ডলার সমান ৮৭ টাকা ধরে)। ঋণ হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় কম হলেও ২০১৮ সালের পর থেকে দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

সোমবার (৯ মে) এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত বাংলাদেশের সরকারি দায়-দেনা শীর্ষক আলাপচারিতায় নাগরিক প্ল্যাটফর্ম কনভেনর ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তার প্রবন্ধে এসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

ভার্চুয়ালি আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে দায়-দেনা দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় কম এতে সন্দেহ নেই। আইএমএফ এর সূত্রানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়-দেনা জিডিপির ৩৪.০৭ শতাংশ। আর ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়-দেনা ১৩১.১৪ বিলিয়ন। গত তিন বছরে গড় হিসাবে দায়-দেনা প্রায় সাড়ে ১৬ বিলিয়ন করে বেড়ে গেছে।

সার্বিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা গেছে, ২০০২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দায়-দেনা বৃদ্ধি হার ছিল ৪৪.১ শতাংশ। কিন্তু ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এটা বেড়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ হয়েছে। আমাদের দায়-দেনা পরিস্থিতি চলমান দশকে দেড়গুণ বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে মাথাপিছু ঋণ হিসাব করলে তা ৪৩২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রতিবছর ১০ বিলিয়ন ডলার করে দায়-দেনা বাড়াচ্ছি। ০.৭ বিলিয়ন ডলা করে প্রতিবছর দেনা পরিশোধ করতে ব্যয় করতে হচ্ছে। দায়-দেনা বৃদ্ধি হার অনেক বেশি হারে বাড়ছে।

এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দেনা বৃদ্ধি হার খুবই বেশি। অভ্যন্তরীণ দায়-দেনা ৬৯ বিলিয়ন ডলার। গত এক দশকে ওই দেনা বৃদ্ধি হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। ২০১৩ সালের পরে এই বৃদ্ধি হার ১৫ থেকে ১৯ শতাংশ হারে বাড়ছে। অন্যদিকে বৈদেশিক দায়-দেনা পরিমাণ ৬০.১৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক দায়-দেনা ১৬.৬ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪.৭ থেকে ১৬.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ঋণের সুদ পরিশোধের হিসাব করলে দেখা যায়, ২০০৬ সালে বৈদেশিক সুদ পরিশোধ করা লাগতো ৩৮.৯১ শতাংশ ও অভ্যন্তরীণ ৬১.০৯ শতাংশ। যেটা ২০১৩ সালের পর ঋণ বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের হার বেড়েছে। ২০২১ সালে এসে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হয়েছে ৬৭.৬৫ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৩২.৩৫ শতাংশ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে। অর্থ্যাৎ সম্পূর্ণ উল্টোচিত্র। এর কারণ বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ হচ্ছে ক্রমান্বয়ে উচ্চ সুদের হারে।

দেবপ্রিয় বলেন, সরকারি দায়-দেনার সঙ্গে নির্বাচনের একটি সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তিখাত বিদেশ থেকে টাকা নিয়েছে ১৮.৭ বিলিয়ন। এটা ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা জিডিপির ৫ শতাংশ। তারা যদি ঠিকমতো ঋণ পরিশোধ না করে তাহলে দেশের জন্য অশনি সংকেত হতে পারে। বিদেশ এ পর্যন্ত যে দায়-দেনা করছি তা ক্রমান্বয়ে অধিকতর মূল্যে করছি। দীর্ঘমেয়াদী ঋণের তুলনায় স্বল্পমেয়াদী ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এর সঙ্গে বাণিজ্যিক ঋণ বাড়ছে। বৈদেশিক ঋণ বহুপাক্ষিকের তুলনায় দ্বিপাক্ষিকভাবে বাড়ছে। এর সঙ্গে চীন, রাশিয়া ও ভারতের সম্পৃক্ততা বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমাদের দায়-দেনা জিডিপি হারের তুলনায় বেশি। আমাদের দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণের চাপ বাড়বে। এ পরিস্থিতির সবচেয়ে দুর্বলতা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ঋণ। যেটা দায়-দেনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় না। আর একটি বিষয়ে ব্যক্তিখাতের ঋণ।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে যদি কোনো ঘাটতি থাকে তখন সরকার দৃশ্যমান প্রকল্প গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করে। এটা সব দেশের ক্ষেত্রেই দেখা দেখতে পাই। অনেক সময় এমন ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়, যার অর্থনৈতিক যৌক্তিকতা থাকে না বা গ্রহণযোগ্য হয় না। প্রকল্পের নাম বলতে গেলে একাধিক প্রকল্পের নাম বলা যাবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরের বছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের পরিমাণ বেড়ে যায়। গ্লোবাল ইন্ট্রিগ্রিটির তথ্য সেটাই বলছে। গণতান্ত্রিক অস্তিতিশীলতা ও আস্থার সংকট দেখা দিলে এ ধরনের প্রবণতা বেড়ে যায়।

শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করার অযৌক্তিক। আমি এমন পরিস্থিতির হওয়ার কারণ দেখি না। এক একটি দেশ একেক রকম বিকশিত হয়। একটার সঙ্গে অন্যটি মিলানো যৌক্তিক নয়। সূত্র : পদ্মাটাইমস

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.