সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের জালিয়াতী দলিলে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে বিধবার জমিসহ সেচ পাম্প দখলে নিয়েছেন আড়াদীঘি গ্রামের সেই শাফিউল। এঘটনায় গত ২৮ এপ্রিল আড়াদিঘী গ্রামের মৃত আইনুলের স্ত্রী রশিদা বিবি বাদি হয়ে শাফিউল ইসলামসহ ২ জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিকে গত ৩০ এপ্রিল উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আগামী ১৫মে উভয় পক্ষকে নিযে পুনরায় আপোষের জন্য তারিখ নির্ধারন করেছেন।
অভিযোগ, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার আড়াদিঘী গ্রামের আব্দুস সোবহান মন্ডলের পুত্র আইনুল হক গত বছরের ২২মার্চ বিকালে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার পরিবারসহ ঘনিষ্ঠ বন্ধু একই গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র শাফিউল ইসলাম তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
এসময় আইনুলের অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইনুলের মৃত্যু হয়
আইনুলের মৃত্যুর ১০ দিন পর তার স্ত্রী শাফিউলের কাছে টেন্ডারে দেয়া সেচ পাম্পের টাকা চাইতে গেলে সেচ পাম্পসহ জমি আইনুলের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন জানিয়ে হাসুয়া হাতে হত্যার হুমকি তাড়িয়ে তাড়িযে দেন শাফিউল।
পুনরায় আইনুলের স্ত্রী রশিদা বিবি গ্রামের লোকজনসহ শাফিউলের কাছে টাকা চাইতে গেলে গ্রামবাসীর সামনেই লাটি হাতে আইনুলের স্ত্রীর সাথে মারমুখী আচরণ করে হত্যার হুমকি দিয়ে টাকা না দিয়ে জমিসহ সেচ পাম্প কিনে নিযেছেন বলে সাপ জানিযে দেন শাফিউল।
এঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে নিয়ে আপোষে বসলে শাফিউলের দলিল যাচাই-বাচাই করে দলিল জালিয়াতির এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তানোর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্টি করা ৫৪৫৭ নম্বর দলিলটি পৃথক ২টি নকল কপির তুলে দেখা যায় ৭নং করামের পাতায় একটির সাথে আরেকটির মিল নেই।
একটি কপির ৭ এর কলামের পাতায় সেচ পাম্পসহ জমির বিক্রয় মুল্য উল্লেখ করা হয়েছে অন্যটিতে সেচ পাম্পের কথা উল্ল্যেখ করা নাই। একটি সুত্র বলছেন, প্রকৃত ভাবে শুধু জমি বিক্রির দলিল রেজিষ্ট্রি করা সঠিক।
কিন্তু ওই দলিলের দাতা আইনুল হকের মৃত্যুর পর রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্তাসহ কর্মচারীসহ দলিল লেখকের যোগ সাজসে ৭নং কলামের পাতাটি পাল্টে ফেলা হয়েছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শাফিউল সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বরতে রাজি না হয়ে এড়িয়ে যান।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযোগের বিষয়ে উভয়পক্ক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেযা হবে। তবে, তানোর সাব রেজিষ্ট্রার তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওযা যায় নি। আজকের তানোর