শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৮ am
আর কে রতন, বিশেষ প্রতিবেদক : ‘মা’ শব্দটি একটি অক্ষর ও আকারে গঠিত হলেও এর বিশ্লেষণ অনেক বড়। একজন নারীর সংসার জীবনে সন্তানের মুখে মা ডাক শোনার জন্য ১০ মাস ১০ দিন অত্যান্ত কষ্ট যন্ত্রণা নীরবে সহ্য করে একটি বাচ্চাকে জন্ম দেন। আর এটিই সত্য যে সাধারণত একটি শিশুজন্মের পর তার মুখে ফোটা প্রথম শব্দটি ‘মা’।
মা সন্তান জন্মদানের সময় এতো কষ্ট সইতে যা যা কোন বাবা সইতে পারবে না। কিন্তু একজন মা পারে। সন্তানের মুখ থেকে ‘মা’ ডাক শোনাটি পৃথিবীর সকল নারীর কাছে সবচেয়ে ভালো লাগার মুহূর্ত। ‘মা’ শব্দটির সঙ্গে মিশে আছে স্নেহ-আদর-মায়া-মমতা আর অফুরান্ত ভালোবাসা। আর সেই সন্তানের মুখে মধুর মা ডাক শোনার জন্য চাকরি ছেড়েছেন এক এনজিও কর্মী।
বগুড়া জেলার আদমদিঘি উপজেলার চড়কতলা গ্রামের সুবল সরকারের ২য় কন্যা নয়নতি রানী (৩৫) একজন এনজিও কর্মী। তিনি একটি সংস্থাতে মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত থাকালীন একই উপজেলার বিলকৃষ্টপুর গ্রামের কম্পিউটার ব্যবসায়ী সুমন সরকার নামক যুবকের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দম্পত্য জীবন শুরুর প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় অতিক্রম হলেও শত চেষ্টা করেও সন্তানের মা হতে পারেননি নয়নতি রানী। সন্তান জন্মদানে ব্যর্থ হয়ে দেশের বিভিন্ন ডাক্তারের সরন্নাপর্ণ হন।
চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায সন্তানের মুখে মধুর মা ডাক শোনার জন্য পাগল হয়ে উঠেন এনজিও কর্মী নয়নতি রানী। তিনি বলেন, বিয়ের পর হতে বাচ্চার জন্য অনেক টাকা খরচ করেও সন্তান না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন স্থানে একটি বাচ্চা দত্তক নেওয়ার জন্য সন্ধান করতে থাকি এরই মাঝে গত কয়েক মাস পূর্বে একটি সন্তানের খোজ পাই এবং বাচ্চাটি বর্তমানে আমি পরম মায়ের যত্ন দিয়ে মানুষ করছি। তিনি আরো জানান বাচ্চাকে মানুষ করার সুবাদে চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।
বর্তমানে বাচ্চাটিকে পরম মাতৃত্বের স্নেহ নিজের সন্তানের পরিচয়ে লালন পালন করছি। প্রত্যেকটি ধর্মে মাকে সর্বোচ্চ আসনে উন্নীত করা হয়েছে। “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত” স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই মা যেমন আমাদের জীবনের সুখ-দুঃখের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তেমনি তাদের সুখে-দুঃখে ও আমরা পাশে থাকবো। আপনি যদি একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে মাকে অবশ্যই ভালোবাসবেন এবং চাওয়া-পাওয়া রয়েছে, সেটি পূরণ করবেন। এনজিও কর্মি নয়নতির মত প্রত্যেক নারীর মধ্যে মাতৃত্ববোধের উদয় হোক বিশ্ব মা দিবসে এই কামনায় সমাজের সুধীজনদের। আজকের তানোর