শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:১৩ am
ডেস্ক রির্পোট : প্রতি বছর পশ্চিমাঞ্চল রেলে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। এ জন্য পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। অবশ্য ক্রসিংগুলোর গেটম্যানদের দাবি, সিগন্যাল অমান্য করে তাড়াহুড়ো করে পারাপারের সময় ঘটছে বেশির ভাগ রেল দুর্ঘটনা।
গত ২৪ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় যাত্রীবোঝাই নসিমনকে ধাক্কা দেয় খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে নসিমনটি দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলে কাটা পড়ে তিনজন। সিসিটিভি ক্যামেরায় উঠে আসে এ দুর্ঘটনার চিত্র।
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ নিয়ে গঠিত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। এর অধীনে এক হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার রেলপথে এক হাজার ২৩৯টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২৮টি অরক্ষিত। আর সুরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা মাত্র ২২১টি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ৭৫৭টির অনুমোদন দিলেও আর্থিক সংকট ও জনবলের অভাবে সব কটিতে এখনো গেটম্যান নিযুক্ত করতে পারেনি। পথচারী ও যানবাহন চালকদের অভিযোগ, লেভেল ক্রসিংগুলোতে নিয়োজিত গেটম্যানদের অবহেলার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
তবে ক্রসিংয়ের গেটম্যানদের দাবি, পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন চালকদের বেখেয়ালি মনোভাব আর সিগন্যাল অমান্য করে লাইন পারাপারের কারণে ঘটছে অধিকাংশ দুর্ঘটনা।
এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিংগুলোর সামনে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানোর পাশাপাশি সবাইকে সচেতনভাবে পারাপারের অনুরোধ জানান বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার আসীম কুমার তালুকদার।
রেলওয়ের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এক হাজার ১৯৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।