মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৩০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঈদের নামাজে বিশ্বে চলমান করোনা মহামারি থেকে সবাইকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। পাশাপাশি জীবনের সব পাপ মোচন, এক মাসের সিয়াম সাধনা কবুল ও নাজাতের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
এছাড়া হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি আর কূপমণ্ডুকতার বিপরীতে মানবিক মূল্যবোধ আর পরমতসহিষ্ণুতার বারতা ছড়িয়ে দিয়ে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান এসেছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীর প্রধান ঈদ জামাত থেকে। মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ৮টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সব আয়োজন থাকলেও বৃষ্টির কারণে রাজশাহীর শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি।
এতে ইমামতি করেন রাজশাহীর জামিয়া ইসলামীয়া শাহ মখদুম (রহঃ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ শাহাদাত আলী। তাকে সহযোগিতা করেন রাজশাহীর শাহ মখুদম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ।
নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে গিয়ে কাতারবন্দি হয়ে দুই বছর পর মুসল্লিরা ছয় তাকবিরের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। করোনা সংক্রমণ কমায় আগের মতই নামাজ শেষে সবাই পরস্পর কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নামাজকে ঘিরে এ সময় কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখানে ঈদের দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে।
এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ বায়তুল আমান জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
নামাজ শেষে তিনি সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এখানে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাওলানা মুহা. বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা।
আর প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, জেলার প্রশাসক মো. আবদুল জলিল সেখানে নামাজ আদায় করেন।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরীফুল হকসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতারাও সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এদিকে, বৃষ্টির কারণে ঈদগাহের বদলে বাড়ির কাছে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছে আজ রাজশাহীর মুসল্লিদের। ভোর ৫টার পর থেকে রাজশাহীতে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রফিকুল আলম জানান, এবার সব ঈদ জামাত ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যারা ঈদ জামাতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু যাতে কেউ সঙ্গে না আনেন, সে বিষয়ে আগেই সবাইকে সতর্ক করেছিল মহানগর পুলিশ। আজকের তানোর