শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষানগরীর রাজশাহীকে অনেকভাবে বিশেষায়িত করা হয়। সিল্কের নগরী, আমের নগরী, সবুজের নগরী, বিশুদ্ধ বাতাসের নগরী বলে খ্যাতি রয়েছে প্রমত্তা পদ্মার পাশ ঘেঁষা এই বিভাগীয় শহরটির। প্রতিদিনই এই নগরীর নামের সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন বিশেষণ। ক্রমশই বাড়ছে এর সৌন্দর্য।
ইতোমধ্যে নগরীর বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত ফোরলেন সড়কে স্থাপন করা হয়েছে সুদৃশ্য পোল ও লাইট। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দাবি, এমন আধুনিক সড়কবাতি দেশের আর কোনো শহরে নেই। দেশে প্রথমবারের মতো এসব আধুনিক সড়কবাতি বিদেশ থেকে আমদানি করে রাজশাহীতে স্থাপন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হবে। নগরীর আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জ্বলবে এই আধুনিক বাতি। সেগুলো বাস্তবায়নের কাজও এগিয়ে চলেছে।
উন্নত সড়ক ও আধুনিক বাতির পরে এবার নগর কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে। নগরীর অন্যতম পর্যটন এলাকা পদ্মাপাড়। বিনোদনের অন্যতম এই এলাকাটি আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নগর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
এরই অংশ হিসেবে হযরত শাহ্ মখদুম (রহ:) মাজার সংলগ্ন এলাকায় ও পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় দুইটি ওভারব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে করা হয়েছে নান্দনিক গ্রাফিটি। রং তুলির আচড়ে ওভারব্রিজ দ’টিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিকভাবে।
রাসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সজীবুর রহমান জানান, শাহ মখদুম মাজারের নিকটে ওভার ব্রিজটিতে ১৮টি পাইলিং করা হয়েছে। এটির স্প্যান ১৮ মিটার। রয়েছে চার মিটারের ৬টি পিলার। ব্রিজটির সৌন্দর্যবর্ধনে ওয়ারক্যাবল সংযোজন করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি করছেন মামুন আর্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়রের প্রোপাইটার মামুন আলী।
পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন ওভার ব্রিজটিতে ১২টি পাইলিং করা হয়েছে। এটির স্প্যান ১২ মিটার। ওভার ব্রিজ দুটিতে র্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজ দুটিতে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৫১ টাকা। এটিতে দুটি আর্চ করা হয়েছে। পাইলিং, এ্যাবাটমেন্ট ও উয়িং ওয়ালের উপর নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে হজরত শাহ্ মখদুম (রহ:) মাজার সংলগ্ন ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন ওভার ব্রিজ দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। উদ্বোধন শেষে ব্রিজ দুইটি পরিদর্শন করেন তিনি।
উদ্বোধনের মাধ্যমে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য খুলে গেলো ব্রিজ দুইটি। এর ফলে মুন্নুজান স্কুল হতে লালনশাহ পার্ক পর্যন্ত পায়ে হেটে যাতায়াত আরও সহজ হবে। উপভোগ করা যাবে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মেয়র লিটন বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশে^র উন্নত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে, বিনোদনকেন্দ্রে গ্রাফিটি করা থাকে, আমি দেখেছি। রাজশাহী মহানগরীর সৌন্দর্য্যবর্ধনে সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে মহানগরীর প্রায় শতাধিক স্থানে গ্রাফিটি করা হচ্ছে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য আজকে উদ্বোধন করা দুইটি ওভারব্রিজেও গ্রাফিটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পাবে। মেয়র আরো বলেন, পদ্মাপাড়কে ঘিরে আরো বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধী প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, কবি আরিফুল হক কুমার, মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নূর ইসলাম তুষার, সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার ঘোষ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সজীবুর রহমান-সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আজকের তানোর