নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটরসাইকেলে করে নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই করে আসছিলেন ইয়াসির আরাফাত। এর আগেও তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও নামেন ছিনতাইয়ে। অবশেষে সিটি টিভির ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনায় আবারও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দুর্ধর্ষ ছিনতাই চক্রের হোতা ইয়াসির আরাফাতকে।
সে নগরীর রাজপাড়া থানা এলাকার অধ্যাপক রাইহানুল ইসলামের ছেলে। তার দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ মিম ও শাওন নামে তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।
বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ কায়সার জানান, নগরীর ষষ্টীতলা এলাকার মো. টিটু ২৭ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ে সৈয়দা তাসনীন তামান্না মিষ্টি বাড়ি থেকে বের হয়ে ষষ্টীতলা মোড়ে পৌঁছালে একটি কালো রঙের মোটরসাইকেল পেছন থেকে এসে তার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ব্যাগে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল। মামলা থানায় হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ওই এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ইয়াসির আরাফাতকে শনাক্ত করা হয়। এরপর মহিলা কলেজের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বাদী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা চিনতে পারেন। ইয়াসির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে শনিবার অভিযান চালিয়ে মিম ও শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বাইক নিয়ে নগরীতে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। বাইক নিয়ে ছিনতাই চক্রের মূল হোতা সে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
এদিকে, রাজশাহী মহানগরীতে এক পেশাদার দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় আসামীদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নগরীর বোয়ালিয়া টিকাপাড়ার খোদাদাদ ইয়ামিত সেলির ছেলে সালেকীন ইয়ামিন শাওন (৩৮) ও তার সহযোগী সুলতানাবাদের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহানুর ইসলাম মিম (১৯)।
আরএমপি সূত্রে জানাযায়, গত ২৫ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে জনৈক এক মেয়ে অলকার মোড় হতে হেটে বাড়ি ফিরছিল। সে ষষ্ঠিতলা পাপিয়া টেইলার্সের সামনে পৌঁছালে পিছন থেকে কালো রংয়ের মোটর সাইকেলে দুইজন ব্যক্তির মধ্যে পিছনে বসে থাকা ব্যক্তিটি সাথীর ভ্যানিটি ব্যাগ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত গতিতে থিম ওমর প্লাজার দিকে চলে যায়।
ভ্যানিটি ব্যাগে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিলো। পরে ওই মেয়ের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়। মামলা করার পর উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ আসামিদের নাম ঠিকানা ও অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামি শনাক্ত করে। এরপর সহকারি পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) এর নেতৃত্বে এম শহীদুল্লাহ কায়সার ও তার টিম গতকাল ৩০ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর সুলতানাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পেশাদার ছিনতাইকারী সালেকীন ইয়ামিন শাওন ও তার সহযোগী আসামি সোহানুর ইসলাম মিমকে গ্রেফতার করেন।
এসময় আসামীদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজকের তানোর