মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে কেনাকাটায় বাজারমুখি মানুষের সমাগম বাড়ছে। দুপুরের তীব্র গরমে সমাগম কম থাকলেও বিকেল নামতেই বাড়ছে ভিড়। এ সময় নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে বাঁধছে যানজট। রাস্তায় যানবাহনের ভিড় ঠেলে বাজারে গিয়ে মানুষের ভিড় ঠেলতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর আলুপট্টি থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড়, ঝাউতলা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে সাহেববাজার রোডসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানবাহনের জটলা বাঁধতে দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি জটলা দেখা গেছে কোর্ট বাজার ও সাহেববাজার এলাকায়। এখানকার রাস্তার দু’পাশে দোকানিদের দৌরাত্ম্য এবং চালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় যানজজে নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীসহ পথচারীরা।
সকাল ৮ টার পরপরই মার্কেটগুলোতে ব্যবসা জমে উঠছে। ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাতসহ রাস্তাতেও পসরা সাজিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ফুটপাতসহ সড়কেও ক্রেতাদের জটলা তৈরি হচ্ছে। অপরদিকে, ইচ্ছামতো গাড়ি পার্কিং করছে অনেকেই। এতে সড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে। নগর ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও মোড়গুলোতে যানজট নিরসনে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
ইদের কেনাকাটা সারতে আশফাকুর রহমান সুজন এসেছিলেন সাহেববাজারে। তিনি জানান, তীব্র গরমের কারণে দিনের বেলা বাজারে আসেন নি। আবহওয়া একটু স্বাভাবিক থাকবে ভেবে সকালের দিকে বাজারে এসেছিলেন। কিন্তুপ্রতিটি মোড়ে মোড়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখতে পেয়েছেন। এরমধ্যে বেলা বাড়ার সঙ্গে গরমও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে মানুষের ভিড় আর রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ লাইনে রোজা থেকে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও জানান, রাজশাহীর সড়কে সাধারণত যানজট হওয়ার কোনো প্রশ্ন আসে না। গাড়ি চালকদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাঝে মাঝেই এসব দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
ছোট দুই বাচ্চাকে নিয়ে ইদের কেনাকাটায় এসেছিলেন আশরাফ ও সুমাইয়া দম্পতি। তারা বলেন, বিগত বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রাজশাহী নগরীতে যানজট বাড়ছে। যদিও যানজট তেমন জটিল আকার ধারণ করে নি। কিন্তু এতো প্রশস্ত রাস্তা থাকতে যানজটের কোনো প্রশ্নই আসে না। আর বাচ্চাদের নিয়ে এসে বাজার থেকে শুরু করে রাস্তাতেও কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আজকের তানোর