বৃহস্পতিবর, ৩১ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০১:১৯ am
ডেস্ক রির্পোট : অন্তর্দলীয় কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থী সামলাতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে করার চিন্তা হলেও আপাতত সেটা আর হচ্ছে না। ফলে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। মূলত প্রতীক পরিবর্তনের জন্য আইন পাস করার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। দরকারও নেই। যে আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও দলীয় প্রতীকেই ভোট করতে চাচ্ছে। এখনই দলীয় প্রতীক থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন না তারা।নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, যে আইনে নির্বাচন করি, সেটি স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রণীত। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্দলীয় নির্বাচন কেবলই আলোচনা। বাস্তবে নির্বাচন দলীয়ভাবেই হয়। ২০১৪ সালের পর দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার লক্ষ্যই ছিলো বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। ওই হিসাব কষে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। আর প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে তৃণমূলে দলের ভিত মজবুত হয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে গেলে ছোটখাটো ঝামেলা হয়। কিন্তু দলীয় প্রতীকে ভোট গ্রহণ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। এতে সব দলই লাভবান হয়।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি দলের স্থানীয় সরকারের মনোনয়ন বোর্ডে একজন সিনিয়র সদস্য ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দেয়ার পক্ষে মতামত তুলে ধরেন। তবে সেই আলোচনায় সাড়া দেননি দলীয় সভানেত্রী ও মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দেয়া হবে কি না- এমন কোনো সিদ্ধান্ত দলীয় ফোরামে হয়নি। চলতি মাসের শেষে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে।
সূত্র মতে, এই মুহূর্তে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এই আইন সংশোধনীর সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে। প্রতীক বাদ দেয়ার ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কোনো কাজ শুরু করেনি।সূত্র : অনলাইন। আজকের তানোর