রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪৭ am
ডেস্ক রির্পোট : নওগাঁর নিয়ামতপুরের ছাতড়া পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ পশুর হাটটি এক বছরের জন্য তিন কোটি ২২ লাখ টাকায় ইজারা নেন মালেকা পারভীন নামে এক নারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে হাটটিতে প্রায় এক হাজার গরু ও দেড় হাজার ছাগল বিক্রি হয়েছে। এসব গরু-ছাগল থেকে অতিরিক্ত প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।
সোমবার সরেজমিন ওই হাটে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চন্ডীপুর গ্রাম থেকে গরু কিনতে এসেছেন দেলোয়ার হোসেন। গরু না কিনেই তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। দেলোয়ার হোসেন জানান, হাটে গরুর দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু খাজনা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। গরু প্রতি সরকারি রেট ৫০০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৬৫০ টাকা। গরু প্রতি ১৫০ টাকা বেশি আদায় করা হলেও হাটের ছাড়ে উল্লেখ করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। এ অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাড় লেখক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি জানান তিনি।
দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, ছাগলের ক্ষেত্রেও একইভাবে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। ছাগলের জন্য ১০০ টাকা খাজনা নির্ধারত থাকলেও প্রতিটি ছাগলের জন্য নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা।
দেলোয়ারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল কিছুক্ষণ পরেই। হাটের প্রবেশ দ্বারে টেবিলে খাতা-কলম নিয়ে বিক্রি হওয়া গরু-ছাগলের ছাড় লেখার কাজ করছিলেন এক যুবক।
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার নাম জানতে চাইলে একটু বিচলিত হন তিনি। পরে বলেন, কী উপকার করতে পারি, বলেন।
গরুর খাজনা ৫০০ টাকা লিখলেও ৬৫০ টাকা আদায় করছেন কেন?- জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না শর্তে তিনি বলেন, আমি তো শুধু ছাড় লেখকের কাজ করি। বিনিময়ে কিছু টাকা পাই। এটি হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাজেদ বলেন, হাটের ডাক তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বাড়তি টাকা আদায় করতে হচ্ছে। খাজনা আদায় বইয়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই কেন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন যুগান্তরকে বলেন, হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খাজনা আদায় করতে হবে। অতিরিক্ত আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। শিগগিরই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : যুগান্তর