রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন এক প্রজাতির সাপ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর নাম রেড কোরাল কুকরি। সাপের প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ওলিগোডন খেরিনসিস (Oligodon Kheriensis)। তবে সাপটি মারাত্মকভাবে আহত। তার শরীরে জখম রয়েছে। বর্তমানে রাজশাহীর পবায় সাপ উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে সাপটি। তার শরীরের ক্ষত মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এখনও সংকট কাটেনি তার। সংকট কাটতে লাগবে আরও কয়েক দিন।
কয়েক দিন আগে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরী ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির সাপটি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় সাপটির নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাওয়ায় সেটি এখনো খুবই জটিল অবস্থায় আছে। চিকিৎসার মাধ্যমে সাপটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।
রাজশাহীর পবায় সাপ উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সাপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রোমন এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজশাহীতেই বর্তমানে সাপটির চিকিৎসা চলছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের এই প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস রোমন জানান, উজ্জ্বল কমলা ও লাল প্রবাল রংয়ের এই সাপটি অত্যন্ত মোহনীয়। লাল প্রবাল সাপটি মৃদু বিষধারী ও অত্যন্ত নিরীহ। এই সাপটি পৃথিবীর দুর্লভ সাপদের একটি। পৃথিবীতে হিমালয়ের পাদদেশের দক্ষিণে ৫৫ আর পূর্ব-পশ্চিমে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় এটি দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, সাপটি নিশাচর এবং বেশির ভাগ সময় মাটির নিচেই থাকে। সম্ভবত মাটির নিচে কেঁচো ও লার্ভা পিপড়ার ডিম ও উইপোকার ডিম খেয়ে জীবন ধারণ করে। নরম মাটি পেলে মাটি খুঁড়ে ভেতরে চলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। মাটির ভেতরে থাকার জন্য রোসট্রাল স্কেল ব্যবহার করে সাপটি। রোসট্রাল স্কেল হলো সাপের মুখের সম্মুখ ভাগে অবস্থিত অঙ্গবিশেষ যার সাহায্যে মাটি খনন করে। এ সাপটি পূর্ণ বিষধর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোমন বলেন, সাপটির নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাওয়ায় সেটি এখনো খুবই জটিল অবস্থায় আছে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার, আমরা এটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যান্ডেজ করলেই সাপটি নড়াচড়া করে সেটি খুলে ফেলছে, যে কারণে তার চিকিৎসায় দীর্ঘ সময় লাগছে।
তিনি বলেন, সাপটির প্রাণ ঝুঁকিমুক্ত কিনা এখনি তা বলা যাবে না। এটি একটি স্ত্রী সাপ। পরবর্তীকালে ডিম দেয়ারও সুযোগ রয়েছে। তবে সাপটি পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও ৬-৭ মাস সময় নিবে। এটিকে নরম খাবার দিতে আরও ১৫ দিনের মত সময় লাগবে। পুরো সুস্থ হলে এর ক্ষত পূরণে দুই থেকে তিন বার খোলস পরিবর্তন করতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত দাগ থেকেই যাবে। আজকের তানোর