শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩৩ am
ডেস্ক রির্পোট : বই এমন একটি উপকরণ, যা একজন মানুষকে সহজেই আলোকিত করে। শিক্ষার আলো, নীতি-নৈতিকতা-আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা, সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সবকিছুই রয়েছে বইয়ের ভেতরে। একমাত্র বইয়ের মধ্যেই আছে সব ধরনের জ্ঞান। আজ বিশ্ব বই দিবস।
১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো দিবসটি উপযাপন করে। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- You are a reader.
বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে দিবসটি পালন করা শুরু করেন। এরপর দাবি ওঠে প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার। আর সে দাবিকেই স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো এবং পালন করতে শুরু করে।
বইয়ের দুনিয়া দিতে পারে এক প্রশান্ত জীবনের ইশারা। ভবিষ্যতের ‘আসল বেঁচে থাকা’র পথ বাতলে দিতে পারে শৈশব-কৈশোরের পাঠাভ্যাস কিংবা বিচিত্র জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ। মানব জীবনের মহানুভব অস্তিত্বটিকে অনুভব করার সুযোগ দিতে পারে বিপুল বইয়ের সংস্পর্শ।
ভারতীয় খ্যাতিমান বাঙালি লেখিকা লীলা মজুমদার লিখেছেন- নতুন বইতে নাক ডুবিয়ে যে ছোট ছেলে-মেয়ে পাঁচ মিনিট তার গন্ধ উপভোগ করেনি, সে বড় হতভাগা, সে আর কী বলব। পরীক্ষা পাসের মুহুর্মুহু চাপে ক্লিষ্ট যে জীবন ‘আউট বই’ ছুঁতে পারে না তাকে তো হতভাগ্য বলতেই হয়। সূত্র : এফএনএস