শনিবর, ২৮ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩৩ am
ডেস্ক রির্পোট : চলছে রমজানের শেষ দশক। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ছিলো কুড়ি রমজান। তবে এদিন তারাবীর নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে নাজাতের ২য় ও রমজানের ২১তম রাত। এ হিসেবে ৩০টি রোজা হলে ঈদ আসতে বাকী রয়েছে মাত্র রয়েছে ৯দিন। আর করোনা মহামারী কাটিয়ে এবার ঈদের আমেজে মেতে উঠেছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শহর। এ ঈদ উদ্্যাপনের জন্য সাধ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। এরইমধ্যে ক্রেতাদের ভীড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজশাহী মহানগরীর শপিংমলগুলো।
শুধুমাত্র অভিজাত শপিংমল বা মার্কেট নয়, ক্রেতাদের ভীড়ে তিল ধারণের ঠাঁই মিলছেনা গরিবের মার্কেট নামে খ্যাত ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। এসব মার্কেটেগুলোতেও এবার ভিন্ন নামে এসেছে শিশুদের কিশোরদেরও পোশাক। ঈদ নিকটে আসায় দোকানীদের যেন দম ফেলার সময় নেই। যে কারণেই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বিক্রেতাদের ব্যস্ততা।
নগরীর আরডিএ মার্কেট, নিউ মার্কেট, হড়গ্রাম নিউ মার্কেট, উপশহর নিউ মার্কেটের কিডস কর্নারগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ঈদকে কেন্দ্র করে ছোট্ট মণিদের জন্য বাজারে এসেছে বাহারি ডিজাইনের পোশাক। এ আনন্দে সন্তানের হাতে পছন্দের পোশাকটি তুলে দিতে ক্রেতারা ছুটছেন মহানগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও অভিজাত শপিংমলগুলো। দাম একটু বেশি হলেও নিজের সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে এসকল বাহারি পোশাক কিনছেন তারা। আর পছন্দের পোশাকটি হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শিশুরা।
রমজানের শেষ সময়ে এসে বিক্রেতারা প্রতিদিন বেচাকেনা শেষে বাড়ি ফিরছেন সেহরীর সময়ে। এ বিষয়ে নিউ মার্কেটের দোকানী শিহাব জানান, রমজানের শেষ দশকে সব সময়ই বিক্রি বাড়ে। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর নিজ ও পরিবারের সদস্যদের খাওয়া-পরা নিশ্চিত করার দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ওই ক্রান্তিকাল পার করেছি। এখন সকল ব্যবসায়ীরাই গত দুই বছরের লোকশান কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তবে ফিক্সট প্রাইজ দোকানগুলোতে ক্রেতারা বেশি।
তিনি বলেন, বর্তমানে সকাল থেকে শুরু হয়ে বেচাবিক্রি চলে মাঝরাত পর্যন্ত। এরপর আবার পরের দিনের জন্য মালামাল প্রস্তুত করে সাজিয়ে রাখতে হয়। যে কারণে দোকান থেকে বাড়িতে গিয়ে সেহরী খেয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। সূত্র : এফএনএস