রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৩৭ pm
মো. শাকিল হোসেন, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) : প্রকৃত কৃষকের হাতে প্রণোদনা পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক নন কিংবা চাষের জমি নাই এমন কেউ যেন প্রণোদনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রণোদনা নিয়ে তা উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে লাগাতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ যেমন স্বাধীন হতো না, তেমনি তাঁরই সুযোগ্য কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে এদেশ উন্নতির শিখরে আসতো না। বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারতো না, পারতো না, পারতো না।
আপনারা কৃষককূল ভুলে গেলে চলবে না, এই সারের জন্যই ১৯ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে খালেজা জিয়ার আমলে। ইরি আবাদ করার জন্য ডিজেলের জন্য কন্টেইনার নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। বিদ্যুতের অভাবে হাজার হাজার বিঘা জমিতে পানি দিতে না পারায় সেই ধান মরে গেছে আপনারা দেখেনছেন? আর এখন কৃষক বান্ধক সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসটিডাবিইউ দিচ্ছি। এ সরকারের নীতি এক ইঞ্চ জমিও পতিত পড়ে থাকবে না। আজ (২১ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় <মৌসুমে আউস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূলে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সাড়ে ১২টায় নিয়ামতপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উফশী আউশ উৎপাদন বাড়ার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে সার এবং বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) বজলুর রশীদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাবু ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, মনোরঞ্জন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন, উপজেলার ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক, নিয়ামতপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম, রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বাবর, শ্রীমন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, হাজিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন বিজয়পুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ২ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়। যার মূল্য ১৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৫শ টাকা। এছাড়াও ৪০ জন প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রত্যেককে ২ হাজার ৪০০ টাকা করে মোট ৯৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অপরদিকে, ২০ জন মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিজনকে ৬ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে (ছাত্রী) বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষক প্রণোদনা নিয়ে ধানের উৎপাদন বাড়ালে খাদ্য ঘাটতি থাকবে না। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে না। আর চাল আমদানি না হলে কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এ নীতির ভিত্তিতেই সরকার সব সময় কৃষকের পাশে থাকবে।
বর্তমান সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সার, বীজ ও বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। দেশে সার, বীজ ও বিদ্যুতের অভাব নেই। সেচের অভাবে জমি অনাবাদী থাকছে না। অথচ বিএনপির আমলে সার চাওয়ায় কৃষককে গুলি করে মারা হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে কৃষক জমিতে সেচ দিতে পারেনি।
এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। পরে মন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৮০ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল ও ৬০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেন। আজকের তানোর