শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী ও তানোর) আসনে চারবার সংসদ সদস্য ও সাবেক আইন, বিচার ও সংস্থাপন এবং ডাক ও টেলি যেগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ২১ এপ্রিল। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালের এই দিনে ঢাকার ইউনাইটে হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৩ সালের ১ নভেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কেল্লাবারুই পাড়া গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন ব্যারিষ্টার আমিনুল হক।
ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তিনি ভাষানী ন্যাপের অনুসারী ছিলেন। উনসত্তরের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ায় কারণে রাজশাহীতে তাঁর বিরুদ্ধে নয়টি মামলা হয়েছিল। সে সময় পাক সরকারের হুলিয়া মাথায় নিয়ে দেশ ত্যাগ করে লন্ডনে ব্যারিষ্টারী পড়তে যান।
আমিনুল হক ১৯৭১ সালে লিংকনস্ ইনের ছাত্র হিসাবে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির কাজে সক্রিয় ছিলেন। সেখানে আমিনুল হক ও হবিগঞ্জের আফরোজ আহমেদের সম্পাদনায় “রনাঙ্গন” নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধ কালীন প্রকাশ করতেন।
আমিনুল হক ১৯৬৪ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ড কালীন প্রভাষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সিটি ল কলেজে অধ্যাপনা করেন।
ব্যারিষ্টার আমিনুল হক জাতীয়তা বাদী আইনজীবি ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৪৪ বৎসর আইনজীবি হিসাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো কৌশলীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আজকের তানোর