মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার ‘ড্রীম হ্যাভেন’ আবাসিক হোটেলে দম্পতি পরিচয়ে উঠার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্ত্রীর লাশ হয়ে যাওয়ার কারণ পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে স্বামী পরিচয়ে হোটেলে ওঠা ওই খুনি প্রেমিক মিঠুন আলীকে (২৮) গ্রেফতার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) একটি দল। অভিযুক্ত খুনি মিঠুন আলী নাটোর জেলার সদর থানার আগদিঘা গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের ছেলে।
তিনি স্থানীয় একটি ইটভাটার কর্মচারি। তার একটি স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। আর হত্যাকান্ডের শিকার ওই নারীর নাম জয়নব বেগম (৪০)। তিনি নাটোর সদর থানার আটঘরিয়া গ্রামের তছির প্রামানিকের মেয়ে। স্বামী পরিত্যক্তা এই জয়নবও ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো। বিয়ের প্রলোভনে প্রায় তিন মাস ধরে জয়নব ও মিঠুনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আর এ কারণেই বিয়ের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে রাজশাহীর একটি হোটেলে নিয়ে জয়নবকে হত্যা করে মিঠুন। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় আরএমপি সদরদপ্তর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
পলিশ কমিশনার বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে জয়নব বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে মিঠুনের সাথে গড়া শারীরিক সম্পর্কের কথা ফাঁস করার হুমকি দিচ্ছিল। মিঠুনকে গ্রেপ্তারের সময় তার ঘরে তল্লাশী করে ঘটনার দিন ব্যবহৃত পোষাক ও নিহত জয়নবের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আর নিহতের বড় ভাই তছলেম প্রামানিকের দায়ের করা হত্যা মামলায় মিঠুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের পর অভিযুক্ত খুনি মিঠুনকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত রোববার রাত ১২টার দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে ড্রীম হ্যাভেন নামের একটি হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে জয়নব বেগমের (৪০) লাশ পাওয়া যায়। তবে হোটেলের রেজিস্টারে ওই নারীর নাম জুলেখা (২৩) ও ছেলের নাম মিজান (২৭) লেখা ছিল। আর তাদের বাড়ি গোদাগাড়ীতে উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু লাশের ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে তাদের প্রকৃত নাম ও পরিচয় বের করে পুলিশ। আজকের তানোর