সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫৩ pm
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : চিপস খাওয়ার অপরাধে রাজশাহীর তানোরে ৪র্থ শ্রেণির এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বেধড়ক পিটিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালের দিকে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমানসহ আরেক কর্মকর্তা তদন্তে প্রমানও পেয়েছেন।
উপজেলার কলমা ইউপির অমৃতপুর উপজাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৬ এপ্রিল শনিবারে ঘটে ছাত্র পেটানোর ঘটনা। এতে করে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সবুরের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তেমনি ভাবে স্হানীয় কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে শিক্ষার্থীর পরিবারকে নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক । অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীর নাম আশরাফুল ইসলাম (১০), তার রোল নম্বর ৩, স্কুলের কাছে বাড়ি হলেও যেতে চাচ্ছে না বলেও পিতা মাতা সহ স্হানীয়দের অভিযোগ । এঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা বাদি হয়ে ওইদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল শনিবার স্কুল চলাকালীন সময়ে চিপস্ খাবার অপরাধে চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলামকে বেপরোয়াভাবে বেত্রাঘাত করেছেন প্রধান শিক্ষক। বাড়ি ফিরেই আশরাফুল গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে, আশরাফুল সুস্থ হলেও তার চোঁখমুখে আতঙ্কের ছাপ রয়ে গেছে।
ওই শিক্ষক থাকলে সে আর স্কুলে যাবে না বলে ভয় পাচ্ছে। এমনকি ভয়ে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আশরাফুলের বেত্রাঘাত দেখে আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল আশা বন্ধ করে দিয়েছে। অভিভাবকরা বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সবুরকে অপসারণ করা না হলে, তারাও তাদের সন্তানদের ওই স্কুলে আর লেখাপড়া করাবেন না।
স্থানীয় অভিভাবক সেকেন্দার আলী, আবুল কালাম ও বিনোদ হেমরম বলেন, প্রধান শিক্ষক সবুর এর আগেও এক আদিবাসী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেছেন। ওই ক্ষোভে উপজাতি পাড়া স্কুল হলেও উপজাতির কোনো ছেলেমেয়ে এখানে পড়ালেখা করে না। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী প্রহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি স্কুলের মাঠ ভাড়া দিয়ে কচু চাষ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর এসব অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ক্লাসে বসে চিপস খাচ্ছিল এজন্য লড়ি দিয়ে একটা বাড়ি দিয়েছ।এমন শাসন না করলে হয় না। এরআগে এক উপজাতি ছাত্রীকে ধর্ষণের জন্য জেল খেটেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, হ্যাঁ একমাসের অধিক কারাভোগ করেছি। কিন্তু মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আমার পক্ষে আদালত রায় দিয়েছেন। এজন্য আমি খালাস পেয়েছি।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এটিও মিজানুর রহমান জানান, তদন্তে মারপিটের প্রমান পাওয়া গেছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এতে প্রধান শিক্ষকের বিভাগীয় ব্যবস্হা হতে পারে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করা দুঃখজনক ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন। আজকের তানোর