মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ ও সহকারী পরিচালক (মেট্রো) ওসমান গনীর নেতৃত্বে মহানগরের বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া এলাকায় পৃথকভাবে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এছাড়াও একজন ভোক্তার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানী শেষে রাণী বাজারের নাজ সুজকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে জুতা বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারা ৪০ অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেই সঙ্গে আরোপিত জরিমানার ২৫ অর্থ এক হাজার ২৫০ টাকা অভিযোগকারীকে দেয়া হয়েছে। ওই অভিযোগকারীর নাম আব্দুর রহিম। তিনি গত ১০ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ তেরখাদিয়া এলাকায় আসলাম পান স্টোর কে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য (প্যাকেট আটা) বিক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৫১ অনুযায়ী ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অপরদিকে, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) ওসমান গনী বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় আহার ফুড ইন্ড্রাস্টিজকে মোড়কজাত পণ্যে উৎপাদনের তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৭ অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা।
এছাড়াও লক্ষ্মীপুর এলাকায় রাজশাহী মিষ্টি মেলাকে মোড়কজাত পণ্যে (দই) উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৭ অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা ও তেরখাদিয়া এলাকায় আনার স্টোরকে মোড়কজাত পণ্যে (দুলহান কেশ কালার) সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সোমবার এই দুইটি অভিযানে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্বলিত লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয় ও আইনটি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় উপর্যুক্ত অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজকের তানোর