রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:১৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হয়েছেন নৈশপ্রহরী সাইদুর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনীত মেয়রপ্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সাইদুর মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সাইদুর রহমানের বাড়ি পৌর সদরের মুণ্ডুমালা মহল্লায়। কর্মজীবনে তিনি টোকাই থেকে হাটের কুলিও ছিলেন। বর্তমানে তিনি মুণ্ডুমালা মহিলা কলেজের নৈশপ্রহরী।
এ নিয়ে স্থানীয়রা জানান, তানোর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র গোলাম রাব্বানীর ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠে মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জায়গা করে নেন সাইদুর। এমন একজন ব্যক্তি মেয়রপদে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় ওই এলাকার পাড়া-মহল্লায় মুখরোচক আলোচনা ও সমলোচনা বইছে।
আওয়ামী লীগকর্মী আরিফ হোসেন বলেন, সম্প্রতি কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মজিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভানা থাকার পরও প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের সম্মান, দল এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি। অথচ একজন নৈশপ্রহরী কি জাদুর বলে এমন দুঃসাহস দেখান? আমাদের বোধগম্য নয় বলে জানান আরিফ।
মুণ্ডুমালা পৌরসভার নাগরিক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ খান বলেন, আমিও মেয়রপ্রার্থী ছিলাম। কিন্তু দল মনোনয়ন না দেয়ায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। তবে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সাইদুর রহমান নির্বাচন করলে আমরা মেনে নেব না। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে সাইদুর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য আমরা হাইকমান্ডের কাছে অভিযোগ জানাব।
তবে এ ব্যাপারে সাইদুর রহমান বলেন, এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। দলের মনোনয়ন তার দরকার নেই। তার প্রতি জনগণের আস্থা আছে। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই বলে দম্ভোক্তি করেন সাইদুর।
সূত্র জানায়, সাইদুর কলেজের নৈশপ্রহরী। তিনি কর্মস্থলে অব্যাহতি না দিয়েই সপদে থেকে মেয়রপদে নির্বাচন করা নিয়ম-বহির্ভূত। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীর মাঝে সমালোচনা ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মুণ্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের প্রায় ১০ দলীয় প্রার্থী মাঠে নামেন। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর আমির হোসেন আমিনকে মেয়রপদে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়।
আর বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন ফিরোজ কবির। তিনি তানোর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য। আগামী ১১ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি।